দেউলিয়া আইনের আওতায় গত সপ্তাহে ভূষণ স্টিলকে কিনে নিয়েছে টাটা স্টিল। ওই বাবদ পাওয়া টাকা থেকে প্রায় ১,৯৯৩ কোটি ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ঘরে আসবে বলে সম্প্রতি জানালেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির এমডি-সিইও দীনবন্ধু মহাপাত্র। তাঁর দাবি, এর ফলে ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) অনেকটাই কমবে।
ভূষণ বিক্রির এই ‘সাফল্য’ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট অনুৎপাদক সম্পদ কমানোর ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রকও। তাদের আশা, গত জুনে যে ১২টি সংস্থার বড় অঙ্কের অনাদায়ী ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চিহ্নিত করেছিল, দেউলিয়া আইনের হাত ধরে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হবে। উল্লেখ্য, ওই সব অ্যাকাউন্টে মোট অনুৎপাদক সম্পদ ছিল প্রায় ১.৭৫ লক্ষ কোটি। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) ব্যাঙ্কগুলিকে যেতে বলেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
মহাপাত্র জানান, ১২টি সংস্থার মধ্যে ১১টিতেই অন্যান্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথ ভাবে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ৮,৩০০ কোটি ঋণ দিয়েছে। ভূষণ স্টিলের থেকে ওই টাকা পেলে তা কমে দাঁড়াবে ৬,৩০০ কোটিতে। প্রসঙ্গত, যে ১১টি ব্যাঙ্কের গায়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশন তকমা লাগিয়েছে, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া তাদের অন্যতম। তাদের মোট ঋণের ৬.৭% অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে। মহাপাত্র বলেন, ‘‘বকেয়া ঋণ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে এনসিএলটি-র উপর অনেকটাই নির্ভর করছি।’’
এ দিকে, লেটার অব ক্রেডিট খাতে নীরব মোদীকে দেওয়া ২,৫০০ কোটি টাকা পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ফেরত পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন মহাপাত্র।