কালো টাকা ফেরাতে তাগাদা

হায়দরাবাদ হাউসে মোদী-লিউথহার্ড বৈঠকে এ দিন রেল সংক্রান্ত ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি সই হয়েছে দু’দেশের। যার মধ্যে রয়েছে স্টেশন আধুনিকীকরণ, টানেল খোঁড়ার প্রযুক্তি হস্তান্তর ইত্যাদি। কথা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক লগ্নি ও বাণিজ্য নিয়েও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৯
Share:

সহাস্য: ডরিসের সঙ্গে মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: এপি।

ভারতীয়দের গচ্ছিত কালো টাকা ফেরাতে এ বার তৎপর হোক সুইৎজারল্যান্ড। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডরিস লিউথহার্ডের কাছে আজ এই অনুরোধই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

হায়দরাবাদ হাউসে মোদী-লিউথহার্ড বৈঠকে এ দিন রেল সংক্রান্ত ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি সই হয়েছে দু’দেশের। যার মধ্যে রয়েছে স্টেশন আধুনিকীকরণ, টানেল খোঁড়ার প্রযুক্তি হস্তান্তর ইত্যাদি। কথা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক লগ্নি ও বাণিজ্য নিয়েও। তবে অগ্রাধিকার পেয়েছে কালো টাকার প্রসঙ্গ। পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি এখন সারা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ। তা সে কালো টাকা হোক, অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ হোক কিংবা হাওয়ালায় লেনদেন বা মাদক চোরাকারবারীদের উপার্জন। এ ব্যাপারে সুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এগোতে চাই।’’

বস্তুত, সেই নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকে মোদী বলে আসছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা কালো টাকা উদ্ধার করবেন। যে কারণে দিল্লির মসনদ দখলের পরেই সুইস সরকারের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চায় অর্থ মন্ত্রক। গত জুনে ভারতের আর্জিতে প্রাথমিক সম্মতিও দিয়েছে তারা। বলেছে, তাদের ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের কালো টাকা জমার অভিযোগ উঠলে, ২০১৯ থেকে সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবে দিল্লি।

Advertisement

গ্রাহক অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখায় সিদ্ধহস্ত সুইস ব্যাঙ্কগুলি। ফলে সে দেশ করফাঁকির স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। তাই সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য হাতে পেতে গত বছর ৬ জুন জেনিভায় সে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম কথা বলেছিলেন মোদী। তারপর থেকে বহু স্তরে কথা হয়েছে দু’দেশের। এ দিন ডরিসকে সেই প্রক্রিয়াতেই আরও গতি আনার অনুরোধ করেন মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement