এত দিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী। এ বার পরস্পরের হাতও ধরল তারা। সুজুকি ও টয়োটা। ভারতের বাজারে একে অন্যের জন্য গাড়ি তৈরি করবে দুই সংস্থা।
বৃহস্পতিবারই ঘোষণা হয়েছে চুক্তির কথা। যার হাত ধরে এ বার হয়তো মারুতি সুজুকির ব্যালেনো বা ভিতারা-ব্রেজা অন্য নামে বেচবে টয়োটা। আবার টয়োটার করোলা ঠাঁই পাবে মারুতির শো-রুমেও। ঠিক যেমন ক’বছর আগে নিসানের জন্য মারুতি প্রায় ৫০ হাজার ‘এ স্টার’ গাড়ি তৈরি করেছিল। ইউরোপে সেগুলি অন্য নামে বেচে নিসান।
একটি গাড়ি তৈরিতে লাগে বিপুল লগ্নি। জরুরি প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণাও। ফলে খরচ হয় বিপুল টাকা ও সময়। সংস্থাগুলির মধ্যে যা ভাগ করে নেওয়ার নানা পন্থা চালু বিশ্বে। কখনও দু’টি সংস্থা প্রযুক্তির জন্য জোট বাঁধে। কখনও নতুন বাজারে পা রাখার আগে হাত ধরে সেখানে সফল কারও। কখনও নিজেদের শো-রুম ছাড়াও ক্রেতা টানে অন্যের দোকানে অন্য নামে গাড়ি রেখে। যেমন, সম্প্রতি জোট বেঁধে ছোট-বড় এসইউভি, বৈদ্যুতিন ও ভবিষ্যতের নেট ব্যবস্থা নির্ভর গাড়ি তৈরির কথা জানিয়েছে মহীন্দ্রা ও ফোর্ড মোটর। যেখানে জোড়া লাগবে ফোর্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা ও ভারতের এসইউভি বাজারে মহীন্দ্রার হাতযশ। ফরাসি রেনো ও জাপানি নিসানও এক সময় হাত মিলিয়ে ভারতে কারখানা খুলেছিল। ভাগ করেছিল লগ্নি।
সুজুকি ও টয়োটার চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের সংস্থার জন্য উভয়েই তাদের পরিচিত ব্যালেনো, ব্রেজা বা করোলা গাড়িগুলি তৈরি করে বিক্রি করবে। এ ছাড়াও সুজুকি কিছু ব্যালেনো, ব্রেজা তৈরি করবে যেগুলি টয়োটা বেচবে তাদের ব্র্যান্ড ও অন্য নামে। উল্টোটা হবে করোলার ক্ষেত্রেও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ ভাবে সবক’টি গাড়ির বাজার বাড়লে আখেরে নতুন বাজার পাবে তারা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হয় এই গাঁটছড়া।