পশ্চিমবঙ্গের ঘরোয়া ও বিদেশি পর্যটকদের বিস্তারিত তথ্য পেতে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য। সরকারের বক্তব্য, সেই তথ্য পেলে এই শিল্পের প্রসারের পরিকল্পনা তৈরি সহজ হবে।
শনিবার সিআইআইয়ের সভায় এই সমীক্ষার কথা জানিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র তথা পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই কাজ শুরু হবে বলে আশা। পুজোর আগে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হতে পারে।’’
অত্রিবাবুর বক্তব্য, পর্যটকেরা কোথা থেকে আসছেন, কোথায় যাচ্ছেন ও কী ভাবে যাচ্ছেন, এক জায়গায় তার বিশদ তথ্য পাওয়া যায় না। আবার বড় বা মাঝারি হোটেলগুলি কতটা ব্যবসা করছে অনেক সময়ে তার কিছুটা জানা গেলেও, সার্বিক ভাবে সেই ছবিটা স্পষ্ট নয়। অর্থাৎ, পর্যটকদের বেড়ানো ও তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য (ম্যাপিং) এখন মেলে না। সমীক্ষায় সেই তথ্য পেলে পর্যটন শিল্পের পণ্য ও পরিকাঠামো তৈরি করা সহজ হবে বলেই তাঁর মত।
পর্যটন ব্যবসা এখন আর নিছক ঘোরার জায়গায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং পুরোটা মিলিয়ে একটি পণ্য। এই যুক্তিতেই এক ছাতার তলায় তথ্যভাণ্ডারের প্রয়োজনীতার কথা বলেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্সের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্ত। তাঁর মতে, চাহিদার আঁচ পেলে সেই অনুযায়ী পর্যটনের পুরো ছক তৈরি সহজ হয়। যেমন, কারা কোথা থেকে সুন্দরবনের পাখি দেখতে আসেন, তার বিশদ তথ্য পেলে এমন পর্যটনের প্রসার সম্ভব।
অন্য দিকে অত্রিবাবু জানান, পর্যটকদের জন্য ময়দান এলাকায় সাইকেল ট্র্যাক তৈরির কথাও ভাবছেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে কলকাতা পুরসভা বা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা জরুরি।