সাইরাস মিস্ত্রি। —ফাইল চিত্র।
টাটা গোষ্ঠীর একজিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসাবে সাইরাস মিস্ত্রিকে পুনর্বহাল করার যে নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল ল’ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি), শুক্রবার তার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এএস বোবডে শুক্রবার ওই নির্দেশ দিয়ে বলেন বলেন, এনিসএলএটি-র তরফে সাইরাসকে পুনর্বহাল করার নির্দেশের ক্ষেত্রে ‘বিচারসংক্রান্ত ভ্রান্তি’ হয়ে থাকতে পারে।
এনসিএলএটি-র রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। এ দিন তাঁদের সেই আবেদনের শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির এজলাসে।এ নিয়ে আদালতের তরফে সাইরাস মিস্ত্রিকে নোটিসও পাঠানো হয়।
২০১৬-র অক্টোবরে সাইরাসকে আচমকাই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করে টাটা গোষ্ঠী। তার পর এনসিএলটি এবং আপিল আদালতের দ্বারস্থ হন সাইরাস। অবশেষে গত ১৮ ডিসেম্বর এনসিএলএটি সংস্থার এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসাবে সাইরাস মিস্ত্রিকে পুনর্বহালের রায় দেয়। মিস্ত্রিকে সরিয়ে চন্দ্রশেখরনকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্তকেও অবৈধ ঘোষণা করে এনসিএলএটি।
কিন্তু শীর্ষ আদালতে এনসিএলএটি-র এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় টাটা গোষ্ঠী। আদালতে তারা জানায়, সমস্ত নিয়ম মেনেই সাইরাস মিস্ত্রিকে সরানো হয়েছিল। মিস্ত্রি বাদে পর্ষদের সব সদস্যরই তাতে সায় ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁকে সরানোকে বেআইনি আখ্যা দেয় এনসিএলএটি। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদে মিস্ত্রির মেয়াদ ২০১৭ সালের মার্চে শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি ওই পদে ফিরতে চেয়ে আর্জিও জানাননি। অথচ তাঁকে পুনর্বহালের নির্দেশ কেন দেওয়া হল, তার ব্যাখ্যা নেই। চন্দ্রশেখরনের নিয়োগেও সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছিল বলে দাবি করে টাটা গোষ্ঠী। তাদের সেই আবেদনের শুনানিতেই এ দিন এমন রায় দেয় শীর্ষ আদালত।