প্রতীকী ছবি।
লকডাউন ওঠার পরে অবিক্রিত বিএস-৪ গাড়ির ১০% বিক্রির ব্যাপারে ডিলারদের অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তার চেয়েও বেশি গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে। বুধবার এই নিয়ে ডিলারদের সংগঠন ফাডাকে তুলোধনা করল শীর্ষ আদালত। জানাল, সরকারি পোর্টাল ‘বাহন’-এর মাধ্যমে যে সমস্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ৩১ মার্চের মধ্যে করানো হয়নি, সেগুলির বিক্রিকে মান্যতা দেওয়া হবে না। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত হিসেব পেশ করার জন্য কেন্দ্র এবং ফাডাকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। পাশাপাশি, গত ২৭ মার্চের নির্দেশও এ দিন আদালত ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মামলার সহায়ক আইনজীবী অপরাজিতা সিংহ। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এর ফলে ৩১ মার্চের পরে বিক্রি হওয়া গাড়িগুলির ভবিষ্যৎ ঘিরে আপাতত সংশয় দানা বাঁধছে।
গত ৩১ মার্চ ছিল বিএস-৪ দূষণবিধির গাড়ি বিক্রির শেষ দিন। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, তার পরে শুধুমাত্র বিএস-৬ দূষণবিধি মেনে তৈরি হওয়া গাড়িই বিক্রি করা যাবে। কিন্তু ওই সময়সীমার আগেই করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় ২৫ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্র। তখন শীর্ষ আদালতের কাছে ফাডা জানায়, ইতিমধ্যেই সংস্থাগুলির কাছে অনেক বিএস-৪ গাড়ি মজুত রয়েছে। সেগুলি গাড়ি সংস্থা ফেরত নিতে নারাজ। সে কারণে ওই সব বিএস-৪ গাড়ি বিক্রির সময়সীমা কিছুটা বাড়ানো হোক। সেই আর্জির ভিত্তিতে ২৭ মার্চ শীর্ষ আদালত জানায়, লকডাউন ওঠার পরে ১০ দিনের জন্য ওই গাড়ি বিক্রি করা যাবে। তবে অবিক্রিত গাড়ির ১০ শতাংশের বেশি বিক্রি করা যাবে না।
এ দিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তোপ, নির্দেশ ভেঙে অনেক বেশি গাড়ি বিক্রি করেছেন ডিলাররা। লকডাউনের মধ্যেও গাড়ি বিক্রি হয়েছে। অন্তত ১৭,০০০ গাড়ি ‘বাহন’ পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনও করানো হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট সেই গাড়িগুলির বিক্রিতে সায় না দিলে সেগুলির কী ভাবে রাস্তায় চলবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও এ দিন বিষয়টি নিয়ে ফাডা বা গাড়ি শিল্পের কেউ মুখ খুলতে চাননি। আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।