দিন কয়েক আগে আবাসন সংস্থা ইউনিটেকের পর্ষদের আট জন ডিরেক্টরকে বরখাস্ত করেছিল জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)। তার বদলে আপাতত কাজকর্ম চালাতে কেন্দ্রকে ১০ জন নমিনি নিয়োগ করতে বলেছিল। মঙ্গলবার সেই নির্দেশ দেওয়া নিয়েই ট্রাইব্যুনালকে কড়া সমালোচনায় বিঁধল সুপ্রিম কোর্ট। ইউনিটেক মামলায় শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে জানাল, সংস্থাটির পর্ষদকে বরখাস্ত করে কেন্দ্রকে দায়িত্ব নিতে বলার আগে তাদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল এনসিএলটি-র।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইউনিটেক। তাদের দাবি ছিল, ক্রেতাদের ফ্ল্যাট দেওয়া নিয়ে চলা মামলায় শীর্ষ আদালত ৭৫০ কোটি টাকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাকে। কিন্তু এনসিএলটি-র নির্দেশে সেই টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ, সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে বাজেয়াপ্ত। তা সত্ত্বেও এতদিন সব ডিরেক্টররা দাঁতে দাঁত চেপে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করছিলেন। বরখাস্ত হওয়ায় যা এখন আর করা যাবে না। সংস্থার অভিযোগ, এই নির্দেশ তাদের শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিরোধী।
এ দিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ খানিকটা ভর্ৎসনা করেই বলে, ইউনিটেক কাণ্ডে ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশ দেওয়ার ঘটনায় মনে হচ্ছে বিষয়টি থেকে তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হল। এবং সেই সঙ্গে নির্দেশও জানিয়ে দিল এনসিএলটি। কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে সময় চাওয়ায় বুধবার ফের মামলার শুনানি হবে।
সংস্থার আবাসনের ২০ হাজার ক্রেতা ও ৫১ হাজার আমানতকারীর স্বার্থ বাঁচানোর লক্ষ্যে এনসিএলটি-তে ইউনিটেক হাতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্র। অভিযোগ তুলেছিল, সংস্থাকে ভুল পথে পরিচালনা করা ও ডিরেক্টরদের বেআইনি ভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে তহবিল সরানোর। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ওই নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় ইউনিটেক। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ করে ট্রাইব্যুনাল। আর তাই সুপ্রিম কোর্টে যায় সংস্থা।