ফাইল চিত্র।
কয়লা সঙ্কটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে আগেই। তবে কেন্দ্রের দাবি, দেশে খনিজটি যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে। রবিবারও একই কথা জানিয়ে কয়লা মন্ত্রক বলল, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ২৪ দিন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন খনিতে প্রায় ৫.২ কোটি টন কয়লা রয়েছে (১৬ জুন পর্যন্ত)। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় শেড, বেসরকারি ওয়াশারি এবং বন্দরে জমা রয়েছে আরও ৪৫ লক্ষ টন। তবে সেই সঙ্গে এই সরবরাহ যাতে মসৃণ হয়, সে জন্য কেন্দ্রগুলিকে এখনই নিজস্ব ব্যবহারের রেকের বরাত দিতেও নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
পরিসংখ্যান বলছে, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে কোল ইন্ডিয়ার রেক পাঠানোর সংখ্যা বেড়েছে ২৫%। গত বছর দিনে পাঠানো হয়েছিল ২৭১.৯টি রেক। তার আগে ২০২০-২১ সালে সেই সংখ্যা ছিল ২১৫টি। যদিও অনেকে বলছেন, ২০২০ সালে করোনা যুঝতে লকডাউন চলছিল দেশে। আর গত বছর অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ছিল জনজীবন। সেই তুলনায় এ বছর আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরো চালুর পরেও ২৫% বৃদ্ধি খুব বেশি নয়। তাঁরা মনে করাচ্ছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ক’মাস আগেই যাত্রী ট্রেন বাতিল করে কয়লা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হয়েছিল কেন্দ্রকে।
বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহের অবশ্য শুক্রবারই দাবি ছিল কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ার খবর ঠিক নয়। রবিবার তিনি বলেন, বর্ষার মরসুমে ৪ কোটি টন কয়লা মজুতের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। রেলও রেক কিনছে। বিদ্যুৎ উৎপাদকদেরও এতে লগ্নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।