ফাইল চিত্র
কেন্দ্রের তরফে আর্থিক বরাদ্দ আগেই কমতে শুরু করেছে। সে জন্য পুরনো চা-গাছ সরিয়ে নতুন গাছ লাগানোর (রিপ্লান্টেশন) ভর্তুকি আপাতত স্থগিত রাখছে টি বোর্ড। শনিবার ইন্ডিয়ান চেম্বারের এক ভিডিয়ো বৈঠকে এ কথা জানান বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায়।
চা শিল্পের পুনরুজ্জীবনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনায় অরুণবাবু জানান, বোর্ডের তহবিলের ৯০% যায় ভর্তুকি খাতেই। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমায় অর্থোডক্স চা ও রিপ্লান্টেশনের ভর্তুকি বণ্টন ব্যাহত হচ্ছে। পরে তিনি জানান, ২০১৩-১৪ সাল থেকে রিপ্লান্টেশনের প্রচুর আবেদন পড়ে রয়েছে। তাই পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত ভর্তুকি দেওয়া হবে না এবং এ জন্য নতুন কোনও আবেদন নেওয়া হবে না। টাকা পেলে আগে বকেয়া ভর্তুকির আবেদন মেটানো হবে।
টি বোর্ডের বক্তব্য, সাধারণত পুরো গাছের বয়স ৫০ বছরের বেশি হলে তার উৎপাদনশীলতা কমে। ফলে কিছু দিন তার বদলে পুরনো গাছ না-লাগালে এখনই উৎপাদন ধাক্কা খাবে না। পাশাপাশি, বাজারে চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হওয়ায় অনেক সময়ই চায়ের দাম ওঠে না। বাড়তি জোগানের সমস্যার কথা বলেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান পি কে বেজবড়ুয়াও। এখন কিছুটা বাড়লেও ওই বাড়তি জোগানের কারণে বর্ধিত দাম কতটা ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে তিনি। এই অবস্থায় নতুন ক্রেতা ও বাজারের সন্ধানের উপর জোর দিয়েছেন কর্তারা।