— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আদানি কাণ্ডের তদন্তভার গত জানুয়ারিতে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির হাত থেকে কেড়ে সিবিআই কিংবা বিশেষ তদন্তকারী দলকে দেওয়ার আবেদন খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরই মধ্যে সম্প্রতি সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আমেরিকার শেয়ার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নতুন অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে দাখিল হয়েছে নতুন আবেদন, আদানিদের বিরুদ্ধে বাকি দু’টি তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হোক সেবিকে। এরই মধ্যে বিরোধীদের আক্রমণ অব্যাহত। এই আবহে টানা দু’দিন পড়েছে শেয়ার বাজার। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, চড়া সূচকে সংশোধন আসতই। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ তা ত্বরাণ্বিত করল।
হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ ছিল, বিদেশি তহবিল ঘুরপথে আদানিদের সংস্থার শেয়ার দরকে বেআইনি ভাবে বাড়িয়েছে। সম্প্রতি তারা বলে, ওই সব তহবিলে লগ্নি ছিল মাধবী ও তাঁর স্বামীর। তাই আদানি-তদন্তে ছিল গা-ছাড়া ভাব। সেবির কর্ণধার হয়েও মাধবী নিজের দু’টি উপদেষ্টা সংস্থা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এ দিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, নিয়ন্ত্রককে একটি উপদেষ্টা সংস্থার দেওয়া তথ্যে স্পষ্ট, তাদের এবং মাধবীর ঠিকানা অভিন্ন। তিনি সংস্থাটি থেকে ইস্তফা দিলেও, তাঁর স্বামী ডিরেক্টর ছিলেন। রমেশ বলেন, বুচ দম্পতির দাবি মাধবী সেবি শীর্ষপদে যোগদানের পরে ওই সংস্থা কার্যকরী ছিল না। তা-ও অসত্য। ফলে আদানি কাণ্ড ও সেবির ভূমিকা নিয়ে যৌথ সংসদীয় দলের তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন মরিশাসের বাজার নিয়ন্ত্রক ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিশনের অবশ্য দাবি, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে উল্লিখিত ফান্ডটি মরিশাসে
নথিভুক্ত নয়।
এ দিন সেনসেক্স ৬৯২.৮৯ পয়েন্ট নেমে হয় ৭৮,৯৫৬.০৩, নিফ্টি ২০৮ পড়ে ২৪,১৩৯। লগ্নিকারীরা হারান ৪.৫২ লক্ষ কোটি টাকা। আদানিদের ১০টি নথিভুক্ত সংস্থার সাতটির শেয়ার দর পড়েছে। বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় লগ্নিকারীরা বিচলিত।’’ বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলছেন, ‘‘বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার বিক্রির গতি বাড়িয়েছে। গত দু’দিনে বেচেছে ৬৭৮৭.৬৮ কোটি টাকার শেয়ার।’’