—প্রতীকী ছবি।
পুজোর মধ্যে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার। শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ফের নামল সেনসেক্স ও নিফটি। এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হওয়ার পর সূচক দাঁড়িয়ে যায় ৮১,৩৮১.৩৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ সেনসেক্স পড়েছে ২৩০.০৫ পয়েন্ট। যা প্রায় ০.২৮ শতাংশ।
এ দিন ৮১,৪৭৮.৪৯ পয়েন্টে খুলেছিল বিএসই। লেনদেন শুরু হতে না হতেই সেনসেক্সের লেখচিত্র নামতে শুরু করে। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮১,৬৭১.৩৮ পয়েন্টে উঠেছিল এই শেয়ার সূচক। সেখানে পৌঁছে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি সেনসেক্স। ফলে তা কিছুক্ষণের মধ্যেই নামতে শুরু করে।
একই ছবি দেখা গিয়েছে নিফটিতেও। এ দিন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) শেয়ার সূচক ২৪,৯৬৪.২৫ পয়েন্টে গিয়েছে থেমেছে। এতে ৩৪.২০ পয়েন্টের পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে যা ০.১৪। সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে ২৪,৯৮৫.৩০ পয়েন্টে খুলেছিল এনএসই। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫,০২৮.৬৫ পয়েন্টে পৌঁছেছিল নিফটি। ফলে আশাবাদী ছিলেন লগ্নিকারীরা। কিন্তু, দিন শেষে মাথায় হাত পড়ে তাঁদের।
এ দিন ব্যাঙ্ক, বিদ্যুৎ, গাড়ি নির্মাণকারী ও রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলির শেয়ারের দর পড়েছে ০.৫ শতাংশ। অন্য দিকে তথ্যপ্রযুক্তি, ধাতু-শংকর, ওষুধ নির্মাণকারী ও মিডিয়া সংস্থার স্টকে প্রায় এক শতাংশ ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে লাভবান হয়েছেন ট্রেন্ট, হিন্দালকো ইন্ডাস্ট্রিজ, এইচসিএল টেকনোলজিস, টেক মাহিন্দ্রা ও ওএনজিসির শেয়ারে লগ্নিকারীরা।
আবার নিফটিতে লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে, এম অ্যান্ড এম, টিসিএস, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, সিপলা ও পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের স্টকে বিনিয়োগকারীরা। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে মাঝারি ও ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির প্রতিটির সূচক ০.৫ শতাংশ করে বেড়েছে। সেনসেক্সে তালিকাভুক্ত ৩০টি সংস্থাটির মধ্যে ১৬টি সবুজ জোনে বন্ধ হয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)