—প্রতীকী ছবি।
স্টকে লগ্নিকারীদের থেকে যেন মুখ ঘুরিয়ে রয়েছে সান্টা! বড়দিনের আগের সপ্তাহে ফের নামল সূচক। ১৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার প্রায় হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। নিফটি ৫০ কমেছে প্রায় ২৫০ পয়েন্ট। এই নিয়ে টানা চার দিন রক্তাক্ত হল শেয়ার বাজার। এর মধ্যে লক্ষ্মীবারে রক্তক্ষরণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত উবে গিয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকা।
এ দিন আবারও ৮০ হাজারের নীচে নেমে যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)। দিনশেষে ৭৯,২১৮.০৫ পয়েন্টে থেমেছে সেনসেক্স। অর্থাৎ, সূচক কমেছে ৯৬৪.১৫ পয়েন্ট। বিএসইর লেখচিত্র নেমে গিয়েছে ১.২০ শতাংশ। সকালে অবশ্য ৭৯,০২৯.০৩ পয়েন্টে খুলেছিল সেনসেক্স। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৯,৫১৬.১৭ পয়েন্টে ওঠে সূচক।
একই ছবি দেখা গিয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)। সেখানে নিফটি ৫০ নেমেছে ২৪৭.১৫ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে এটি প্রায় ১.০২। এ দিন এনএসই বন্ধ হয় ২৩,৯৫১.৭০ পয়েন্টে। সকালে বাজার খোলার সময়ে ২৩,৮৭৭.১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল সূচক। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ হাজারে উঠলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই নীচে নেমে আসে নিফটির লেখচিত্র।
শেয়ার বাজারের এই মহাপতনের জন্য আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজ়ার্ভ’-এর সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। এ দিন সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেড রিজ়ার্ভ। সেখানে সুদের হার দাঁড়িয়েছে ২.২৫ শতাংশ। এর জেরে আরও শক্তিশালী হয়েছে ডলার। অন্য দিকে ডলারের নিরিখে রেকর্ড নীচে নেমে গিয়েছে ভারতীয় টাকা। এরই সরাসরি প্রভাব শেয়ার বাজারের উপর পড়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন স্টকের দরের পতনের দিনেও ১,৪৭০টি শেয়ারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর পড়েছে ২,০৪৬টি স্টকের। আর ৬৫টি শেয়ার অপরিবর্তিত থেকে গিয়েছে। ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা বাদ দিয়ে সমস্ত ক্যাটেগরির স্টকের দামে পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। দু’শতাংশ কমেছে ব্যাঙ্ক নিফটির সূচক।
সেনসেক্স ও নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে এশিয়ান পেইন্টস, বজ়াজ ফিন্যান্স এবং বজ়াজ ফিনসার্ভের স্টকে লগ্নিকারীদের। দিনভর হতাশ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ার। অন্য দিকে খারাপ দিনেও লাভের মুখ দেখিয়েছে ডাঃ রেড্ডিস, সান ফার্মা এবং সিপলা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)