ভুয়ো জিএসটি নথিভুক্তি এবং পণ্য সরবরাহের ভুয়ো ইনভয়েস ব্যবহার করে, প্রতারণার অঙ্ক ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো জিএসটি নথিভুক্তি এবং পণ্য সরবরাহের ভুয়ো ইনভয়েস ব্যবহার করে আগে মেটানো কর ফেরত (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি) প্রতারণার অঙ্ক ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যার ফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের রাজকোষের। এমন প্রতারণা চিহ্নিত করতে এ বার দেশ জুড়ে অভিযান শুরু করল জিএসটি দফতর। কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের অফিসারেরা এ ব্যাপারে যৌথ ভাবে কাজ করছেন। মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত।
পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি) সূত্রে খবর, প্রিন্সিপাল কমিশনারদের চিঠি দিয়ে জিএসটি নীতি বিভাগ জানিয়েছে, আইটিসি প্রতারণা গুরুতর আকার নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইটিসি প্রতারণা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত অর্থবর্ষে এমন প্রায় ১৪ হাজার ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতারণার অঙ্ক ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়ালেও উদ্ধারও হয়েছে ২১,০০০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রতারণার সংখ্যা ছিল ১২,৫৯৬। কর ফাঁকি এবং প্রতারণা চিহ্নিত করতে তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করেছে জিএসটি দফতর। তথ্য বিনিময় করছে অন্যান্য দফতরের সঙ্গে। এ ছাড়া নতুন সংস্থার জিএসটি নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে আধারের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীর পরিচয় এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিটার্ন দাখিল না করলে বাতিল হচ্ছে জিএসটি নথিভুক্তি।