প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে তৈরি চটের বস্তা এ বার পাড়ি দেবে নাইজেরিয়ায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের বছরই রাজ্যের চটকলগুলি থেকে এই রফতানি শুরু হবে। সম্প্রতি নাইজেরিয়ার কৃষিমন্ত্রী অদু ওগবে-সহ সে দেশের সরকারি প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গে এসে চটকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁরা রাজ্য থেকে নাইজেরিয়ায় চটের বস্তা রফতানির প্রস্তাব দেন। ওগবে জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথম ধাপে বছরে অন্তত এক লক্ষ টন চটের বস্তা রাজ্য থেকে কিনতে চান।
২০১৮ সাল থেকে নাইজেরিয়ায় প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ শুরু হচ্ছে। বিশেষ করে খাদ্যশস্য ভরতে প্লাস্টিকের বস্তা কার্যত নিষিদ্ধ হতে চলেছে সে দেশে। তাই পরিবেশ বান্ধব চটের বস্তার খোঁজে নাইজেরিয়ার প্রতিনিধিদলটি ভারতে এসে রাজ্যের চটকল মালিকদের সঙ্গে দেখা করে। ঘুরে দেখে কয়েকটি চটকলও। চটকল মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ) দাবি, আমদানির পাশাপাশি নাইজেরিয়ায় একটি মিল গড়ার ব্যাপারেও সে দেশের সরকার আগ্রহী। সেখানে তারা পাটের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে চায়। এই প্রকল্পের জন্য নাইজেরিয়া সরকার আইজেএমএ-র সহযোগিতা চেয়েছে।
আফ্রিকার এই দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ তেল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই সে দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের ব্যাপক চল রয়েছে। ইদানীং সামান্য কিছু চটের বস্তা তারা ভারত থেকে আমদানি করলেও, কৃষি ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বস্তারই একচেটিয়া বাজার। কিন্তু সামনের বছর থেকে খাদ্যশস্য, বিশেষ করে কফি, কাজুবাদাম-সহ অন্যান্য কৃষিপণ্য ভরে রাখতে সরকার চটের বস্তাই ব্যবহার করতে চাইছে। এমনকী আগামী দিনে অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও তা বাধ্যতামূলক করতে চাইছে তারা। পাট শিল্পমহলের মতে, ভারতের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নাইজেরিয়ার এই চাহিদা মেটাতে পারে। যে-কারণে সে দেশের কৃষিমন্ত্রীও এ রাজ্যকে বেছে নিয়েছেন।