ছবি: সংগৃহীত।
গত এক দশকে রাজ্যে যথেষ্ট লগ্নি এসেছে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার। বিরোধীরা বড় বিনিয়োগ প্রকল্পের অভাবের কথা বললেও তাদের দাবি, লগ্নি যেমন এসেছে তেমনই তার হাত ধরে যে কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। এ বার শিল্পের জন্য পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ ও লগ্নি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থার সরলীকরণের উপরে জোর দিচ্ছে তারা। শুক্রবার বণিকসভা সিআইআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন ও শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিংহ জানালেন, শিল্প পার্কে পড়ে থাকা জমি ফেরানো এবং গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য দ্রুত প্রস্তাব চাওয়ার পাশাপাশি, এক জানলা ব্যবস্থা ‘শিল্পসাথী’র সরলীকরণের মতো পদক্ষেপ করছেন তাঁরা।
বণিকসভার কর্তাদের কাছে প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বার্তা, সরকার ও লগ্নিকারীদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করা জরুরি। কারখানা বন্ধ কিংবা বিভিন্ন জটিলতার জন্য সরকারি শিল্প তালুকে প্রায় ৫০০-৬০০ একর জমি আটকে রয়েছে। তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সংস্থাগুলিকে চিঠি দেওয়া হবে। অন্য দিকে, গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য আগ্রহপত্র চেয়েছিল রাজ্য। চার-ছয় সপ্তাহের মধ্যে চাওয়া হবে রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজ়াল (প্রস্তাবের অনুরোধ)।
‘শিল্পসাথী’তে আবেদনের পরে বিভিন্ন দফতরের সফটওয়্যারের জন্য যোগাযোগে অনেক সময়েই সমস্যা হয় বলে অভিযোগ। শীঘ্রই সেই সমস্যাও দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন রাজীব। বিভিন্ন শিল্প নিগমের পার্কে প্রকল্পের ‘বিল্ডিং প্ল্যান’ সেই নিগমই অনুমোদন দেবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।