—প্রতীকী ছবি।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআইয়ের গ্রাহকদের প্রায় প্রত্যেকেই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। এটিএম থেকে টাকা তোলা হোক বা অনলাইনে কেনাকাটা – ওই কার্ডের মাধ্যমেই বিল মেটাতে পারেন তাঁরা। চলতি কথায় এর আর একটি নাম হল, এটিএম কার্ড। অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি বিনামূল্যে গ্রাহকদের দিয়ে থাকে এসবিআই কর্তৃপক্ষ। তবে ডেবিট বা এটিএম কার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট চার্জ।
এসবিআইয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ডেবিট কার্ডের ইস্যু করার সময়ে তিনটি বিভাগে চার্জ দিতে হয় গ্রাহকদের। ক্লাসিক, সিলভার, গ্লোবাল এবং কন্টাক্টলেস ডেবিট কার্ডের উপর কোনও চার্জ নেই। গোল্ড এবং প্ল্যাটিনাম ডেবিট কার্ডে নেওয়া হয় যথাক্রমে ১০০ এবং ৩০০ টাকা চার্জ। এ ছাড়া এই দুই কার্ডের ক্ষেত্রে জিএসটি বাবদ অতিরিক্ত টাকাও দিতে হয় গ্রাহককে।
এর পাশাপাশি ডেবিট কার্ডের একটি বার্ষিক চার্জ রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে একে রক্ষণাবেক্ষণের চার্জ বলা হয়েছে। কার্ডে হাতে পাওয়ার দ্বিতীয় বছর থেকে সেই টাকা বাধ্যতামূলক ভাবে গ্রাহকের থেকে নিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কার্ড ভেদে রক্ষণাবেক্ষণ চার্জের রকম ফের রয়েছে।
ক্লাসিক, সিলভার, গ্লোবাল এবং কন্টাক্টলেস ডেবিট কার্ডের উপর রক্ষণাবেক্ষণের চার্জ সবচেয়ে কম নিয়ে থাকে এসবিআই কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের কার্ড থাকলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এ ছাড়া ২৫০ টাকা নেওয়া হয় যুব, গোল্ড, কম্বো এবং মাই কার্ডে। এসবিআই প্ল্যাটিনাম ডেবিট কার্ডের রক্ষণাবেক্ষণ বার্ষিক চার্জ ৩২৫ টাকা। প্ল্যাটিনাম বিজ়নেস রুপে কার্ডের ক্ষেত্রে আবার চার্জ বেড়ে দাঁড়াবে ৩৫০ টাকা।
বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের চার্জ সর্বাধিক এসবিআই গর্ব বা প্রিমিয়াম বিজ়নেস ডেবিট কার্ডের। এর গ্রাহকদের থেকে ৪২৫ টাকা নিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে জিএসটি দিতে হবে তাঁদের। ডেবিট কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি গেলে প্রতিস্থাপন ফি নেয় ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সেটি জিএসটি বাদে ৩০০ টাকা।
ডেবিট কার্ডে লেনদেনের উপরেও চার্জ নিয়ে থাকে এসবিআই কর্তৃপক্ষ। এটিএমে শুধু অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স অনুসন্ধান করলে ২৫ টাকা ফি দিতে হয় গ্রাহককে। এ ছাড়া নগদ তোলার ক্ষেত্রে প্রতি লেনদেনে ন্যূনতম ১০০ টাকা নিয়ে থাকে স্টেট ব্যাঙ্ক। পিওএস মেশিন ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক লেনদেন বা ই-কমার্স সাইটে কেনা কাটা করলে তিন শতাংশ চার্জ নিতে হয় গ্রাহককে।