প্রতীকী ছবি।
এই প্রথম রাজ্যের গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তৈরি মশলা রফতানি হবে পড়শি মুলুকে। পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা জিরে, ধনে, লঙ্কা এবং হলুদ গুঁড়ো প্যাকেটবন্দি করে বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এতে দু’দেশের সম্পর্কের যেমন উন্নতি হবে, তেমন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন।’’
রাজ্য জুড়ে পর্ষদের অধীনে ১১টি প্রকল্প রয়েছে। তাদের জমিতে জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন আনাজ ও মশলার চাষ হয়। এদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া, নদিয়ার দত্তফুলিয়া, বর্ধমানের মেমারি, ওড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে ধনে, জিরে, লঙ্কা ও হলুদ উৎপাদন হয়। যার চাষ থেকে শুরু করে গুঁড়ো করে প্যাকেটবন্দি করার কাজ করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
পর্ষদের প্রশাসনিক সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘চলতি মাসে ১৬ টন করে ধনে, জিরে এবং ২৪ টন করে লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো বাংলাদেশে পাঠানো হবে। তা পরিবহণের কাজ করবে একটি রফতানিকারী সংস্থা।’’ তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে কয়েক হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জৈব পদ্ধতিতে মশলা চাষ করলেও ঠিক দাম পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশে তা গেলে ভাল দাম পাবেন।
আর রফতানিকারী সংস্থার কর্ণধার শৌভিক চন্দের আশা, এখন পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য যাতায়াতে সমস্যা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু কাগজপত্র ঠিক থাকলে মাসের শেষে সীমান্ত দিয়ে পণ্য পড়শি দেশে পৌঁছতে অসুবিধা হবে না।
এই উদ্যোগে খুশি গোষ্ঠীর মহিলারাও। হরিহরপাড়ার সালেহা খাতুন জানান, ‘‘লকডাউনে তিন মাস রোজগার নেই। বাংলাদেশে পণ্য গেলে তুলনায় বেশি দাম পাব। এই মুহূর্তে যত দ্রুত হাতে টাকা আসে, তত মঙ্গল।’’ আর দত্তফুলিয়ার মঞ্জু বালার আশা, এ বার আলো ফুটবে।