স্পাইসজেটের বিমান। — ফাইল চিত্র।
জুন ত্রৈমাসিকে লোকসান আরও বেড়েছে স্পাইসজেটের। বিমান সংস্থাটির কর্মীদের অভিযোগ, জুলাইয়ের বেতন পেতে দেরি হচ্ছে। একাংশ পাননি গত ২০২১-২২ অর্থবর্ষের ফর্ম-১৬। সমস্যা হচ্ছে পিএফ ও কর সংক্রান্ত হিসাবের ক্ষেত্রেও। সংস্থা এই দাবি না-মানলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সঞ্জীব তানেজা।
আজ বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, এপ্রিল-জুনে তাদের লোকসান হয়েছে ৭৮৯ কোটি টাকা। বিমান জ্বালানির দর গত এক বছরে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পাওয়া এবং টাকার দরে পতনকেই এ জন্য দায়ী করেছে তারা। গত বছরের এই সময়ে তারা লোকসান করেছিল ৭২৯ কোটি। আর পুরো অর্থবর্ষে ক্ষতির অঙ্ক ছিল ১৭২৫ কোটি টাকা। তবে এ বছর জুন ত্রৈমাসিকে তাদের আয় বেড়েছে ১২৬%।
চলতি ত্রৈমাসিকেই পণ্য পরিবহণ ব্যবসাকে আলাদা সংস্থায় পরিণত করার কথা ঘোষণা করেছে স্পাইসজেট। বলেছে, বাজার থেকে তোলা হবে ১৬০০ কোটি টাকাও। সংস্থার সিএমডি অজয় সিংহ জানান, আগামী দিনেও তাদের অগ্রগতি বজায় থাকবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। যদিও স্বাধীন অডিটরদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, সংস্থা আগামী দিনে ব্যবসা চালাতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তবে বেতন নিয়ে সংস্থার দাবি, ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হচ্ছে। অগস্টের বেতনও মাসের শেষ থেকে এই ভাবেই দেওয়া হবে। এর কারণ হিসেবেও চড়া তেলের দাম এবং জুলাই-সেপ্টেম্বরে ঢিমে ব্যবসাকে দায়ী করেছে তারা। স্পাইস জানিয়েছে, ১ অগস্ট থেকে জ্বালানির দাম কমা এবং উৎসবের মরসুমের শুরুতে টিকিট বিক্রি বাড়লে ব্যবসা ফের ভাল হবে।