অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে, বহু ক্ষেত্রে বিমা সংস্থাগুলি চিকিৎসার পুরো টাকা দিতে অস্বীকার করে। প্রতীকী ছবি।
বিমা শিল্পের অন্দরেই অভিযোগ, বিমা নিয়ে অভিযোগ জানাতে ওম্বুডসম্যানের কাছে কোথায় ছুটতে হবে বা কী ভাবে সাহায্য চাইতে হবে, তা অনেক গ্রাহকই জানেন না। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কী ভাবে ওই দফতর অভিযোগের মীমাংসা করে, সে সম্পর্কেও অন্ধকারে বড় অংশ। ফলে জীবন বিমা হোক বা স্বাস্থ্য বিমা, বহু ক্ষেত্রেই যথার্থ পরিষেবা পাওয়ার লঙ্ঘন হয়। এই জন্যেই এই সমস্ত বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য বিশেষ প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, জানিয়েছেন কলকাতার বিমা ওম্বুডসম্যান কিরণ সহদেব।
এ ছাড়া, গ্রাহকদের বিমা সংক্রান্ত অভিযোগের দ্রুত মীমাংসা করতে দেশের প্রতিটি রাজ্যে ওম্বুডসম্যানের দফতর খোলার পরিকল্পনা করছে এই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ, দাবি তাদের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য বিজন কুমার মিশ্রের। এখন বাংলা-সহ দেশের ১৭টি রাজ্যে দফতর রয়েছে। বিজনবাবু বলেন, “বর্তমানে কলকাতা বিমা ওম্বুডসম্যানের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আন্দামন নিকোবর এবং সিকিম রয়েছে। আমরা সিকিম এবং আন্দামান নিকোবরের জন্য আলাদা দফতর খোলার কথা ভাবছি।’’
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা কেন্দ্রের লক্ষ্য বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘‘দেশে আরও বেশি সাধারণ বিমা সংস্থা চালু করতে চায় সরকার। এ জন্য সংস্থা খুলতে শেয়ার মূলধনের অঙ্ক কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এখন তা ১০০ কোটি টাকা। সেই অঙ্ক কমিয়ে ১০ কোটি টাকা করা হতে পারে।’’
অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে, বহু ক্ষেত্রে বিমা সংস্থাগুলি চিকিৎসার পুরো টাকা দিতে অস্বীকার করে। মিশ্র বলেন, ওই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রোগী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই অভিযোগ জানানো উচিত। এ জন্য প্রথমে সংস্থার কাছেই অভিযোগ করতে হবে। তাতে কাজ না হলে যেতে হবে বিমা ওম্বুডসম্যানের কাছে। মিশ্রের আক্ষেপ, অভিযোগের খবর আসে অনেক। কিন্তু বাস্তবে অতি অল্প সংখ্যক রোগী বা তার পরিবারই সেই রাস্তায় হাঁটেন।
ওম্বুডসম্যানের আওতায় আরও বেশি অভিযোগ নিয়ে আসতে উদ্যোগী সহদেবও। তাঁর বার্তা, ‘‘বর্তমানে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার ক্লেম-এর ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো যায়। সেই অঙ্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে নিয়ন্ত্রকটি।’’ তাঁর দাবি, গত অর্থবর্ষে কলকাতা দফতরে যত অভিযোগ জমা পড়েছিল তার ৯১.০৩ শতাংশের ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।