প্রতীকী ছবি।
ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি-সহ ডিজিটাল সম্পদের ছবি। এক দিকে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, শীর্ষ ব্যাঙ্কের আনা ডিজিটাল বা নেট-মুদ্রা চালু টাকারই ডিজিটাল রূপ। চাইলে তা নগদে বদলানো যাবে। অন্য দিকে রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ডিজিটাল সম্পদ লেনদেনে লাভ-ক্ষতি এবং করের হিসাবের জন্য পরের অর্থবর্ষ থেকে আয়কর রিটার্ন ফর্মে আলাদা জায়গা (কলাম) থাকবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা ছিল, ডিজিটাল মুদ্রা আনবে একমাত্র রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী অর্থবর্ষে ব্লক-চেন প্রযুক্তিতে তা আনা হবে। এর বাইরে যাবতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল সম্পদকে দেখা হবে শুধুমাত্র সম্পত্তি হিসেবেই। যার লেনদেনে বসবে ৩০% কর। সঙ্গে কাটা হবে ১% উৎস করও (টিডিএস)। এ দিন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং সারা দেশে দলের কর্মীদের ভার্চুয়াল সভায় মোদীর দাবি, দেশের আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নেট-মুদ্রা। এতে ঝুঁকি কমবে। সুযোগ বাড়বে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল লেনদেনের।
পাশাপাশি বজাজ জানিয়েছেন, পরের বছর থেকে তো আয়কর রিটার্ন ফর্মে ক্রিপ্টো লেনদেনে লাভ-ক্ষতি হিসাবের জন্য আলাদা জায়গা (কলাম) থাকবেই। এমনকি এই অর্থবর্ষে কোনও একটি খাতে রিটার্ন ফর্মে তা দেখাতে হবে এবং অ্যাসেসিং অফিসার তা পর্যালোচনা করবেন। সেই সঙ্গে নির্মলার পথে হেঁটে বুধবার বজাজ এবং প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান জে বি মহাপাত্র স্পষ্ট করেছেন, এই লেনদেনে কর বসা মানেই যে ক্রিপ্টোকারেন্সি আইনি স্বীকৃতি পেল, তা নয়। শুধু এতে করের বিষয়টিতে স্বচ্ছতা এল।
সেই সঙ্গে মহাপাত্র বলেন, এগুলিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার জন্য বিল পেশ করতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তার জন্য আয়কর দফতর অপেক্ষা করে না। বরং তারা লেনদেন থেকে আয় হচ্ছে কি না, সেটাই দেখে। পাশাপাশি, আয়কর ও টিডিএস-এর হাত ধরে ক্রিপ্টো এবং ডিজিটাল সম্পদ লেনদেন কতটা বেড়েছে, কারা এতে টাকা ঢালছেন, মুনাফা দেখানো হচ্ছে কি না, তাঁদের লগ্নির ধরনের মতো বিষয়গুলি বোঝা সম্ভব হবে বলেও
জানিয়েছেন তিনি।