কোথাও করের হার বৃদ্ধি, কোথাও বা বিধিতে বদল। আগামী শনিবার থেকে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আসতে চলেছে জিএসটি ব্যবস্থায়। পরোক্ষ কর ব্যবস্থার কাঠামো সংস্কার করে রাজকোষে বেশি অর্থ নিয়ে আসা
এবং রিটার্ন ব্যবস্থায় কড়াকড়ি বাড়িয়ে কর ফাঁকি বন্ধ করাই কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
১ জানুয়ারি থেকে জুতো ও জামাকাপড়ের ইনভার্টেড ডিউটি স্ট্রাকচার বদলাতে চলেছে। এর ফলে সব ধরনের জুতোয় জিএসটির হার হতে চলেছে ১২%। আবার তৈরি জামাকাপড়-সহ সমস্ত ধরনের বস্ত্রের (সুতি বাদে) উপরে অভিন্ন হারে (১২%) কর সংগ্রহ করা হবে। এখন ১০০০ টাকা পর্যন্ত দামের পোশাকে ৫% জিএসটি দিতে হয় ক্রেতাদের। জিএসটি পরিষদ ও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। বস্ত্র শিল্প মহলের একাংশের বক্তব্য, এর ফলে সব চেয়ে সমস্যায় পড়বেন সস্তা পোশাকের ক্রেতারা। অর্থাৎ, কম রোজগেরে সাধারণ মানুষ। আবার কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি, জিএসটি বাড়ানো হলে এই ধরনের পোশাকের দাম বাড়লেও কমতে পারে চাহিদা। এর জেরে মার খেতে পারে ছোট ছোট পোশাক কারখানাগুলি। ফলে কর কাঠামো ঠিক করতে গিয়ে উল্টে চাপ বাড়বে শিল্পের উপরে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে অটো ভাড়া করলে পরিষেবার উপরে ৫% জিএসটি চাপবে। যে কর এখন নেওয়া হয় না। তবে রাস্তা থেকে সাধারণ ভাবে অটো ভাড়া করলে তা দিতে হবে না। আবার জ়্যোম্যাটো, সুইগির মতো অ্যাপ-ভিত্তিক খাবার সরবরাহ পরিষেবায় সংশ্লিষ্ট পরিবহণ সংস্থাকেই জিএসটি সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে সরকারের ঘরে। আগে তা জমা দিত রেস্তরাঁগুলি। দাখিল করতে হবে ইনভয়েস। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, এতে ক্রেতাদের বাড়তি খরচ গুনতে হবে না। শুধু জিএসটি জমার ক্ষেত্রে বদল হবে দায়িত্ব। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, খাবার পরিবহণ সংস্থাগুলি অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ তথ্য না দেওয়ায় কর সংগ্রহ কম হচ্ছে।
জিএসটি ফাঁকি এবং কর ফেরতের প্রতারণা রুখতেও কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। আগে মেটানো কর ফেরত পেতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে আধারের প্রমাণ। আবার কর জমা করে জিএসটিআর-৩বি দাখিল না করলে পরের মাসেই বন্ধ করে দেওয়া হবে বিক্রি সংক্রান্ত জিএসটিআর-১ জমা দেওয়া ব্যবস্থা। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী দু’মাস পরে বন্ধ করা হয় রিটার্ন দাখিল।