প্রতীকী ছবি।
চলতি মাস থেকে নথিভুক্ত নতুন দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে ভর্তুকি ছেঁটেছে মোদী সরকার। ফলে সেগুলির দামও বাড়িয়েছে অধিকাংশ সংস্থা। এই গাড়ি কেনার খরচ বাড়ায় বিক্রি ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রথাগত জ্বালানিতে চলা ইঞ্জিনের (আইসিই) দু’চাকায় অতিরিক্ত কর (গ্রিন ট্যাক্স) বসানোর আর্জি জানাল বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন এসএমইভি। এ দিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা তরুণ কপূরের বার্তা, দেশের বিভিন্ন শহরে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা জোরদার করতে নীতি আনবে কেন্দ্র। যেখানে প্রাধান্য পাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি।
সংগঠনের দাবি, এই কর বসলে দূষণে রাশ টেনে পরিবেশবান্ধব গাড়ির জন্য ভর্তুকির বন্দোবস্ত করা সহজ হবে। তারা প্রতিযোগিতায় আইসিই গাড়ির সঙ্গে টক্কর নেওয়ার সমান মঞ্চ পাবে। কমবে তেল আমদানির খরচও। এসএমইভি-র ডিজি সোহিন্দর গিল বলেন, ‘‘ভারতের মতো বাজারে গাড়ি কেনার খরচই সবচেয়ে বড় বাধা। আইসিই গাড়িতে বাড়তি কর বসলে বৈদ্যুতিকের দাম তার প্রায় সমান হবে। এগুলির বাজার সম্পর্কে বড় গাড়ি সংস্থাগুলির আস্থাও বাড়াবে।’’
এ দিন বিপণি (শো-রুম) থেকে মে মাসে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রির হিসাব প্রকাশ করে বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডা জানিয়েছে, এগুলির দখলে মোট যাত্রী গাড়ির বাজারের ২.৫%। দু’চাকায় অংশীদারি ৭%, তিন চাকায় ৫৬.২% ও বাণিজ্যিকে ০.৫৬%। তবে আগামী দিনে বাজার বৃদ্ধি নিয়ে শিল্প আশঙ্কায়। এ দিন এক অনুষ্ঠানে বণিকসভা ফিকির বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত কমিটির প্রধান সুলজ্জা ফিরোদিয়া মোতোয়ানির বক্তব্য, আচমকা ভর্তুকি ছাঁটাই ও বৈদ্যুতিক গাড়ি দামি হওয়ায় ব্যবসায় যে গতি এসেছিল তা হারাতে হতে পারে। তাই পাঁচ বছরের আরও একটি ভর্তুকি প্রকল্প (ফেম৩) আনার পরামর্শ দেন তিনি, যেখানে আগে থেকেই প্রতি বছর ভর্তুকি কমার কথা বলা থাকবে।
যদিও ওই সভাতেই তরুণের দাবি, একটা পর্যায়ের পরে প্রত্যক্ষ ভর্তুকি এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। বরং বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমানো জরুরি। তিনি জানান, কেন্দ্র অধিকাংশ শহরে গণপরিবহণ বিস্তারের নীতি নিচ্ছে। তাতে ডিজ়েলচালিত নয়, বরং বৈদ্যুতিক পরিবহণ ব্যবস্থা জোর পাবে। অর্থাৎ, বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্প বড় সুযোগ পাবে সরকারের তরফে।