—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার পরেও এ বছর ব্যক্তিগত যাত্রিবাহী গাড়ি বিক্রি বাড়েনি। বরং আগের বছরের থেকে কমছিল। পাইকারি বাজারেও ওই শ্রেণির ছোট গাড়ি বিক্রি কমেছে বলে জানাল নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম। অর্থাৎ সংস্থাগুলির কাছ থেকে বিক্রেতারা (ডিলার) গত বছরের থেকে কম গাড়ি কিনেছেন। পরিসংখ্যানে প্রকাশ, শুধু সেপ্টেম্বরে নয়, একই প্রবণতা জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের হিসাবেও।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, গত ১০টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে এই প্রথম একটিতে চার চাকার ছোট ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি বিক্রি কমল। সিয়ামের তথ্য বলছে, জুলাই-অগস্ট-সেপ্টেম্বরে কমার হার ১৯.৬%। তবে মাঝারি, বড় ও ভ্যান মিলিয়ে মোট ছোট যাত্রিবাহী চার চাকার বিক্রি কমেছে ১.৮%। শুধু সেপ্টেম্বর ধরলে ১.৪%।
বিক্রেতাদের সংগঠন ফাডার তথ্যও দেখিয়েছিল উৎসবের মরসুমে ব্যক্তিগত গাড়ি বিক্রির নিম্নমুখী ছবি। সোমবার সিয়ামের এই তথ্য প্রমাণ করছে, দেশে গাড়ি বাজারের হাল অনিশ্চিত। সংগঠনের সভাপতি শৈলেশ চন্দ্র বলেন, “বিলম্বিত এবং কিছু জায়গায় অত্যাধিক বৃষ্টি এর প্রধান কারণ। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়া এবং দিওয়ালির জন্য অক্টোবরে বাজার চাঙ্গা হতে পারে।” তিনি জানান, মার খেয়েছে মূলত ছোট-মাঝারি যাত্রিবাহী গাড়ি। বড় অর্থাৎ ইউভি-র বিক্রি বেড়েছে। দু’চাকা এবং তিন চাকাও বিকিয়েছে ভাল।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মূল্যবৃদ্ধিও এর জন্য দায়ী। ছোট গাড়ির বহু সম্ভাব্য ক্রেতার হাতে টাকা নেই। অনেকে দু’চাকা কিনে সাধ মেটাচ্ছেন। তার উপর দীর্ঘ দিন ধরে সুদের হার এবং তেলের দাম চড়া। ছোট গাড়ির সম্ভাব্য ক্রেতারা খরচ চালানোর কথা ভাবতেই পারছেন না। যদিও সিয়ামের তথ্য তুলে একাংশের দাবি, উৎসবে খরচ বৃদ্ধি হয়তো গাড়ি ঝোঁক কমিয়েছে। আগামী দিনে বাজার চাঙ্গা হতে পারে। বিক্রির হাল ফেরার জন্য সকলেই দিওয়ালির দিকে তাকিয়ে।