—প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক বছর ধরেই নিজেদের অব্যবহৃত জমি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য লিজ়ে দিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন কলকাতা তথা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, মায়াপুর এবং নূরপুরের তিনটি জমিতে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, আধুনিক কনভেনশন সেন্টারের মতো বাণিজ্যিক নির্মাণ হবে সেখানে।
বন্দর সূত্রে খবর, তারাতলার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অছিপুর এবং বিড়লাপুরের মধ্যে গঙ্গার ধারে ২০.৪৯ একর জমি বিলাসবহুল রিসর্ট তৈরিতে ভাড়া দেওয়ার লক্ষ্য। ব্রিটিশ আমলে সেখানে কয়েকটি ম্যাগাজ়িন হাউস ছিল। জাহাজে করে বয়ে আনা কামানের বারুদ মজুত করা হত। তারাতলা থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা লাগোয়া ফলতা এবং ডায়মন্ড হারবারের মাঝে নূরপুরে জমি রয়েছে ৩.১১ একর। মহেশতলা-বজবজ এলাকায় গঙ্গার ধারে আছে আরও ৫ একর। নূরপুরের জমি আধুনিক হোটেল এবং বজবজের জমি শপিং মল, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার এবং ব্যাংকোয়েট তৈরির জন্য দেওয়ার পরিকল্পনা। সূত্রের দাবি, আগ্রহী সংস্থার দক্ষতা যাচাই করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় সব জমিই বার্ষিক ভাড়ায় প্রায় ৬০ বছরের জন্য লিজ় দিতে চান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সংস্থার চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন জানান, এই উদ্যোগে সাড়া মিলবে বলে আশা তাঁদের। আগ্রহী সংস্থা কোনও প্রস্তাব দিলেও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ওই তিনটি জমিতে আবাসন এবং গুদাম তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে না।