—ফাইল চিত্র।
আর্থিক সঙ্কটে ১৭ এপ্রিল পরিষেবা স্থগিত করেছে জেট এয়ারওয়েজ। চলছে তার ক্রেতার খোঁজ। এই অবস্থায় জেট ছাড়লেন একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা। মঙ্গলবার জেটের সিইও পদ ছাড়েন বিনয় দুবে। এ দিনই সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছেন কোম্পানি সেক্রেটারি ও কমপ্লায়েন্স প্রধান কুলদীপ শর্মা। সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার পদত্যাগ করেছেন সিএফও অমিত আগরওয়াল। সরেছেন চিফ পিপল অফিসার রাহুল তানেজাও।
গত মাসে স্বাধীন ডিরেক্টর রাজশ্রী পথী, নন্-এগ্জ়িকিউটিভ ও নন্-ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর নাসিম জৈদি, পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর গুয়ারং শেঠি জেট ছাড়েন। সংস্থা ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গ হিসেবে মার্চে চেয়ারম্যানের পদ ও পর্ষদ ছাড়েন প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। পদত্যাগ করেন তাঁর স্ত্রী অনিতা গয়াল ও এতিহাদের মনোনীত ডিরেক্টর কেভিন নাইট। গত নভেম্বরে পর্ষদ ত্যাগ করেন স্বাধীন ডিরেক্টর বিক্রম সিংহ মেটা এবং রঞ্জন মাথাই।
জেটের মালিকানা হাতে নিতে শুক্রবার ছিল আগ্রহপত্র জমার শেষ দিন। তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বারের সভায় বিমান প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে সংস্থা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কিছু দরপত্র জমা পড়েছে। কী ভাবে সেই প্রক্রিয়া এগোয় দেখা যাক।’’
প্রশ্ন ওঠে, বিমানবন্দরে জেটের কাউন্টার অন্য সংস্থাকে দেওয়া নিয়ে। সিন্হার দাবি, এটি সাময়িক সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘যাত্রীদের সুবিধার জন্য জেটের কিছু সম্পত্তি অন্যদের সাময়িক ভাবে দেওয়া হয়েছে। পুনর্গঠন সম্পূর্ণ হলে তা ফেরানো হবে।’’
এয়ার ইন্ডিয়া বিলগ্নিকরণ: ঋণের ভারে ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া বিলগ্নিকরণে কেন্দ্র বদ্ধপরিকর বলে জানালেন জয়ন্ত সিন্হা। তিনি বলেন, ‘‘সংস্থা বিলগ্নিকরণে কেন্দ্র দায়বদ্ধ। বিশ্বমানের সংস্থা গড়তে চাই। কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।’’