প্রতীকী ছবি।
দেশের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থায় এ বার থেকে কাজের ভিত্তিতে কর্মীদের বেতন সংশোধন করা হবে বলে ইউনিয়নকে জানাল অর্থ মন্ত্রকের অধীন আর্থিক পরিষেবা বিভাগ। এখন সেগুলির কর্তৃপক্ষের সংগঠন জেনারেল ইনশিয়োরার্স পাবলিক সেক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ইউনিয়নগুলির দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে পাঁচ বছর অন্তর তা করা হয়। সূত্রের খবর, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবার ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের জন্য কর্মীদের বেতন ১২% হারে বাড়িয়েছে অর্থ মন্ত্রক। তার পরেই জানিয়েছে, আগামী দিনে এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার আর্থিক-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নতি এবং কর্মীদের কাজের মানের ভিত্তিতে নেওয়া হবে। তবে এতে প্রবল আপত্তি ইউনিয়নগুলির। তাদের দাবি, বেতন সংশোধনের নিয়ম বদলের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামবে তারা।
ঘোষিত বর্ধিত বেতন কার্যকর হবে নিউ ইন্ডিয়া অ্যাশিয়োরেন্স, ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইনশিয়োরেন্স, ওরিয়েন্টাল ইনশিয়োরেন্স এবং ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের কর্মীদের ক্ষেত্রে। সেগুলির হোল্ডিং কোম্পানি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পুনর্বিমা সংস্থা জিআইসিআরই-র কর্মীরাও সংশোধিত বেতনই পাবেন। সূত্রের দাবি, কেন্দ্র চায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিক। সেই লক্ষ্যেই বদলাচ্ছে বিধি। এতে কর্মীরা ভাল কাজ করতে উৎসাহ পাবেন। লোকসান হলে সম্ভব হবে খরচ কমানো।
প্রস্তাব কার্যকর হলে আর পাঁচ বছর অন্তর বেতন বদলাবে না। তা স্থির হবে প্রতি বছর, প্রতিটি সংস্থার আয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীর কাজের মূল্যায়নের নিরিখে। সিদ্ধান্ত নেবে পরিচালন পর্ষদ। মঙ্গলবার সাধারণ বিমা কর্মীদের সংগঠন ন্যাশনাল ফেডারেশন অব জেনারেল ইনশিয়োরেন্স এমপ্লয়িজ়ের পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চান রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থাগুলিতে কাজের ভিত্তিতে বেতন দিতে। কেন্দ্র উপদেষ্টা সংস্থা ইঅ্যান্ডওয়াই-কে দিয়ে সমীক্ষা চালানোর পরে সেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সাধারণ বিমা শিল্পের সমস্ত ইউনিয়ন যৌথ ভাবে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামবে।’’
তবে নতুন নিয়ম আদৌ কতটা বাস্তবায়িত করা যাবে, তা নিয়ে বিমা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে সংশয় রয়েছে। ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ প্রধান বলেন, বিমা সংস্থার কাঠামোগত গঠন অন্য সংস্থার থেকে আলাদা। বহু কর্মীর কাজের ধরন এমনই যে, তাঁদের পারফরম্যান্স বিচার করে বেতন দেওয়া কঠিন।