এ বার আলাদা নিয়ন্ত্রক নির্মাণ শিল্পে

নির্মাণ শিল্পে সাধারণ ক্রেতাকে সুরক্ষিত রাখতে সংশোধিত বিলে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রিয়েল এস্টেট (রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিল-এ অনুমোদন দিয়ে এই ক্ষেত্রের উপর নজরদারির জন্য আলাদা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়তে বলল মন্ত্রিসভা। বাণিজ্যিক প্রকল্প ও বসবাসের আবাসন, সবই এর আওতায় আসবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২০
Share:

নির্মাণ শিল্পে সাধারণ ক্রেতাকে সুরক্ষিত রাখতে সংশোধিত বিলে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রিয়েল এস্টেট (রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিল-এ অনুমোদন দিয়ে এই ক্ষেত্রের উপর নজরদারির জন্য আলাদা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়তে বলল মন্ত্রিসভা। বাণিজ্যিক প্রকল্প ও বসবাসের আবাসন, সবই এর আওতায় আসবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যে-সমস্ত চালু প্রকল্পে এখনও শেষ হওয়ার শংসাপত্র মেলেনি, সেগুলিকেও নয়া বিলের শর্ত মেনে তিন মাসের মধ্যে ওই নিয়ন্ত্রকের অধীনে নথিভুক্ত হতে হবে।

Advertisement

ক্রেতাদের স্বার্থেই নির্মাতা কোনও ব্যাপারে গাফিলতি দেখালে বা ভুল করলে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বিলে। এমনকী এ ক্ষেত্রে তাঁর জেলও হতে পারে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হবে আপিল ট্রাইব্যুনালও। পাশাপাশি, ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার অন্তত ৫০ শতাংশ নির্মাতা সংস্থাকে আলাদা একটি অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখতে বলা হয়েছে, যাতে তা নির্মাণের খরচ মেটাতে কাজে লাগানো যায়।

নতুন বিল বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের আরও কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্মাতা সংস্থা বাড়ির প্ল্যান বা কাঠামোগত নকশায় নিজের থেকে রদবদল ঘটাতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে একটি প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ ক্রেতার অনুমতি নিতে হবে বলে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। নির্মাতাদের বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁদের সংস্থা সম্পর্কে সব তথ্য জানাতে হবে। নকশা, কাজ শেষের সময়সীমা, জমির অবস্থা ও বৈধ অনুমোদন আছে কি না, তা-ও জানিয়ে দিতে হবে। প্রথম দফায় এই বিল রাজ্যসভায় আনা হয় ২০১৩-র অগস্টে। তারপর সেটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। তারা রিপোর্ট দেয় ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement