দৌড়: বহাল থাকবে এই গতি?
সূচক বাড়ছে, কিন্তু চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। তাঁদের চিন্তার কারণ, শেয়ারের দামে তেমন কোনও সংশোধন বা কারেকশন ছাড়াই টানা বাড়ছে সূচক. যা শেয়ার বাজারের পক্ষে ভাল লক্ষণ নয় বলে আশঙ্কা বেশ কিছু বাজার বিশেষজ্ঞের।
সোমবার ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের প্রথম লেনদেনের দিনই রেকর্ড অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলল নিফ্টি। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ওই সূচক এই দিন বেড়েছে ৬৪.১০ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা দাঁড়ায় ৯২৩৭.৮৫ অঙ্কে। নিফ্টির ইতিহাসে এটি রেকর্ড অঙ্ক। পিছিয়ে নেই দেশের অন্য সূচক সেনসেক্সও। এই দিন এক লাফে সেনসেক্স বেড়েছে ২৮৯.৭২ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা থিতু হয় ২৯,৯১০.২২ অঙ্কে।
দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় এক নাগাড়ে বাড়ছে শেয়ার বাজার। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা শেয়ার কেনা সূচকের এই উত্থানকে উল্কার গতি দিয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই আশঙ্কা, যে-কোনও দিনই ওই সব সংস্থা মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রি করা শুরু করতে পারে। তা হলে সূচকের পতন ঠেকানো মুশকিল হবে বলে ধারণা ওই সব বিশেষজ্ঞের।
যদিও হালে দেখা যাচ্ছে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার বিক্রি করতে থাকলে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি শেয়ার কিনতে নেমে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মত, বাজারে বড় মাপের পতন রোখার মতো ক্ষমতা ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি অর্জন করেছে। তবে তা সত্ত্বেও তাঁরা বাজারে ‘কারেকশন’-এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘বাজার উঠছে সেটা ভাল। কিন্তু বিনা বাধায় সূচকের এই রকম উত্থান খুব কমই দেখেছি। আমার ধারণা, বাজার এখন বুল-দের দখলে। তাই নিফ্টি দ্রুত ৯৪০০ ছুঁতে পারে।’’ এই অবস্থায় সরাসরি বাজারে টাকা ঢালা থেকে বিরত থাকতে ক্ষুদ্র সাধারণ লগ্নিকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।