প্রতীকী ছবি।
৫০ হাজার ছুঁয়েই নিম্নমুখী শেয়ার বাজার। বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক শিখরে ওঠার পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয়েছিল পতন। শুক্রবার দিনভরও সেই প্রবণতা বাজারে। সেনসেক্সের পতন প্রায় ৮০০ পয়েন্ট। ২০০ পয়েন্টের বেশি নেমেছে নিফটিও। পর পর দু’দিন এত বড় পতনে লগ্নিকারীদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
করোনার ধাক্কায় তলানিতে চলে যাওয়া শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল আনলক পর্বের গোড়া থেকেই। ধীরে ধীরে শুধু ঘুরে দাঁড়ানো নয়, অনেক দিন আগেই টপকে গিয়েছে করোনার আগের সূচককেও। তার পর মাঝেমধ্যে সামান্য শ্লথগতি এলেও মোটের উপর বাজারে ধনাত্মক প্রবণতাই বজায় ছিল। সেই প্রবণতায় উঠতে উঠতে বৃহস্পতিবার সেনসেক্স প্রথম ৫০ হাজারের উপরে উঠে যায়।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে দ্রত পড়তে শুরু করে বাজার। সেনসেক্স-নিফটি দুই সূচকেই দ্রুত পতন হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বাজার খোলার শুরু থেকেই নিম্নগতি। বেলা যত গড়িয়েছে, ছড়িয়েছে আতঙ্ক। বেড়েছে বিক্রির হিড়িক। তার জেরে শেষ পর্যন্ত সেনসেক্স ৭৪৬ পয়েন্ট (১.৫ শতাংশ) নেমে বন্ধ হওয়ার সময় ৪৯ হাজারেরও নীচে নেমে যায় (৪৮,৮৭৮.৫৪)। নিফটিতে পতন ২১৮.৪৫ পয়েন্ট বা ১.৫ শতাংশ। দিনের শেষে ১৪,৪০০-র মনস্তাত্ত্বিক অঙ্কেরও নীচে নেমে থেমেছে ১৪,৩৭১.৯০ পয়েন্টে।
ব্যাঙ্কিং, ফাইনান্স, মেটাল, মিডিয়া, ফার্মা-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রই বড়সড় পতনের মুখে পড়েছে। একমাত্র অটো সেক্টরে কিছুটা ক্রয়ের আগ্রহ দেখা ছিল লগ্নিকারীদের মধ্যে। শুক্রবার ২০০৪টি শেয়ারে ছিল লাল সঙ্কেত। অন্য দিকে সবুজ সঙ্কেত ছিল ৯৮০টি শেয়ারে।