দিনের শুরুতে অনেকটাই তলিয়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। কিন্তু ধাক্কা সামলে বাজারের দুই প্রধান সূচক সেনসেক্স ও নিফট মাথা তুলল অপ্রত্যাশিত ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর ‘বুস্টার ডোজ’-এ। চাঙ্গা হলেন লগ্নিকারীরা। আর মঙ্গলবার দিনের শেষে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স উঠল ১৬১.৮২ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৫,৭৭৮.৬৬ অঙ্কে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নিফটি এগোলো ৪৭.৬০ পয়েন্ট। থিতু হল ৭,৮৪৩.৩০ অঙ্কে।
বাজার সূত্রের খবর, এক সময় সেনসেক্স নেমে যায় ২৫,২৮৭.৩৩ অঙ্কে। ঋণনীতি শুরুর একটু আগেও তাকে নামতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ঘোষণা হতেই ৭৫০ পয়েন্ট লাফ দেয় সূচক। পেরিয়ে যায় ২৬ হাজারের ঘর। গত তিন বছরের মধ্যে কখনও এত বেশি হারে রেপো রেট ছাঁটাই করেনি শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই সুদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেয়। তবে বাজার বাড়তেই লগ্নিকারীরা হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা ঘরে তুলতে থাকেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ওই উচ্চতা ধরে রাখতে পারেনি সূচক।
বাজার বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, সুদ কমলে যে সমস্ত সংস্থার লাভবান হওয়ার কথা, এ দিন মূলত তাদের শেয়ার দরই বাড়তে দেখা গিয়েছে। যেমন আবাসন, গাড়ি ও ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র। ১০% পর্যন্ত বেড়েছে ওই তিন ক্ষেত্র। কারণ, সুদ কমার ফলে গাড়ি, বাড়ি কেনার জন্য ঋণ নিতে খরচ কমানোর পথ যেমন তৈরি হল, তেমনই কর্পোরেট সংস্থাগুলিও এ বার ব্যাঙ্ক থেকে বেশি ঋণ নেবে। কারণ তাদের ঋণ নেওয়ার খরচ কমবে। আর এ সবের জেরে চাহিদা ও উৎপাদন বাড়লে আখেরে লাভবান হবে অর্থনীতিই। যে কারণে, আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে বার বার সুদ কমানোর পক্ষে সওয়াল করে এসেছে সরকার ও শিল্প।