—প্রতীকী চিত্র।
দিনের শুরুতে বিপুল উত্থানের পরেই প্রায় ১৬০০ পয়েন্টের ধস। শেষে প্রায় ৭৩৩ পয়েন্ট খুইয়ে ৭৩ হাজারের ঘরে নামল সেনসেক্স। দাঁড়াল ৭৩,৮৭৮.১৫ অঙ্কে। নিফ্টি আবার গোড়ার দিকে নতুন শিখরে উঠে গিয়েছিল। কেউ ভাবেনি দিন শেষ হবে পতনে। এই সূচক থেমেছে ২২,৪৭৫.৮৫-এ।
বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ এবং বিনয় আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘‘চড়া বাজারে এমন পতন স্বাভাবিক। অনেক দিন ধরে অনেকখানি উপরে উঠেছে সূচক। এখন লগ্নিকারীরা হাতের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তুলবেন না! বাজারে কোনও আশঙ্কার মেঘ নেই। সমীকরণ মেনেই এমন অস্থিরতা সংশোধনের পথ তৈরি করছে।’’ তবে কমলবাবু ক্ষুদ্র সাধারণ লগ্নিকারীদের আর একটু অপেক্ষা করে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষত ভোটের ফল পর্যন্ত। আপাতত কিছু দিন বাজারে ওঠানামা চলবে বলেই মত তাঁদের।
একাংশের অবশ্য দাবি, নানা কারণে বাজার অস্থির। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এ ভাবে। যার অন্যতম একটি, সতর্ক লগ্নিকারীদের দ্রুত গতিতে হাতের শেয়ার বিক্রি করতে থাকা। যেমন, বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, ‘‘এত উঁচু বাজারে লাভ তুলে নেওয়ার ঝোঁক থাকে বটে। তবে আমেরিকায় সুদ কমার সম্ভাবনা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট, দেশে চলতে থাকা লোকসভা ভোট, তাপপ্রবাহে কৃষি ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তাও লগ্নিকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যে কারণে ‘অস্থিরতা সূচক’ (ভোলাটিলিটি ইনডেক্স) চড়েছে। অর্থাৎ শেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন না বহু লগ্নিকারী। বিক্রি করে লাভ তুলে নিচ্ছেন। ফলে সূচকের দ্রুত ওঠানামার আশঙ্কা বহাল। নির্বাচন হয়ে একটা স্থায়ী সরকার না আসা পর্যন্ত এমন অস্থিরতা চলতে পারে।’’