—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আড়াই মাস বাদে সূচকের নতুন শৃঙ্গ জয়। ১৫ সেপ্টেম্বর গড়া নিফ্টির নজির (২০,১৯২) ভাঙল, যখন ১ ডিসেম্বর ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল সূচকটি পৌঁছল ২০,২৬৮ পয়েন্টে। সেই সঙ্গে এক্সচেঞ্জটিতে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মোট শেয়ারমূল্য এই প্রথম ছাড়াল ৪ লক্ষ কোটি ডলার। যে মাইলফলক তার কয়েক দিন আগে পেরিয়েছে বিএসই-র সূচক সেনসেক্সও। আর শুক্রবার দিনের শেষে তা থেমেছে আগের রেকর্ড থেকে মাত্র ৩৫৮ পয়েন্ট নীচে। শেয়ার বাজারে এখন বুলদের দাপাদাপি। গত সপ্তাহে চারটি কাজের দিনে সেনসেক্স বেড়েছে ১৫১১ পয়েন্ট। দেশের অর্থনীতি নিয়ে একের পর এক ভাল খবর সূচক দু’টিকে এই জায়গায় ঠেলে তুলেছে। আগামী দিনেও তার দিকে চোখ রেখে এগোবে বাজার। এ বার দেখে নেওয়া যাক কোথা থেকে বাজার এত শক্তি পাচ্ছে।
এই সব কারণেই বিএসই-তে নথিভুক্ত সব শেয়ারের বাজার দর গত সপ্তাহে ছাড়িয়েছে ৪ লক্ষ কোটি ডলার। একই নজির গড়েছে এনএসই-তে নথিভুক্ত শেয়ারগুলিও। আমেরিকা, চিন, জাপান ও হংকংয়ের পরে ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম বাজার।
আশা করা হচ্ছে সূচকের যে ঊর্ধ্বগতি গত সপ্তাহে দেখা গিয়েছে, তা এ সপ্তাহেও জারি থাকবে। সেনসেক্সও গড়বে নতুন নজির। তা ছাড়া পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলেও উল্লসিত হবে বাজার। তবে সেটা হবে সাময়িক। আগামী দিনে বরং সূচকের গতি নির্ধারণ করবে অর্থনীতিই। সঙ্গে চোখ থাকবে সপ্তাহ শেষে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির দিকেও।
(মতামত ব্যক্তিগত)