—প্রতীকী ছবি।
শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক উত্থানের সময় ছোট ও মাঝারি সংস্থার শেয়ারেই বেশি লগ্নি করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বিশেষত মিউচুয়াল ফান্ডগুলির মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই লগ্নি বেশি ঝুঁকির। কারণ, সংস্থাগুলির বেশির ভাগেরই ভবিষ্যৎ কতটা মজবুত, তা নিশ্চিত নয়। ঠিক এই কারণে এ বার ছোট-মাঝারি সংস্থার শেয়ারে ফান্ডগুলির লগ্নি করা অর্থের ঝুঁকি খতিয়ে দেখতে চাইল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। সংবাদ সংস্থার খবর, লগ্নিকারীদের যে তহবিল বিভিন্ন ফান্ড ওই সব শেয়ারে খাটায়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে সেগুলির ঝুঁকি মেপে দেখতে বলা হয়েছে।
ভারতে যে সব সংস্থার মোট শেয়ার মূল্য ৫০০০ কোটি টাকার কম, সেগুলি ছোট মূলধনের সংস্থা (স্মল ক্যাপ)। মাঝারি মূলধনের সংস্থার (মিড ক্যাপ) ক্ষেত্রে তা ৫০০০-২০,০০০ কোটি টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫২ সপ্তাহে সেনসেক্স বেড়েছে ২০%। অথচ ছোট সংস্থাগুলির সূচকের বৃদ্ধি ৬৫%, মাঝারিগুলির ৫৯%। বাজার বিষয়ক গবেষণাকারী ভ্যালু রিসার্চের সমীক্ষা বলছে, গত বছর স্মল ক্যাপ সংস্থায় ফান্ডগুলি ঢেলেছে ৪৩,২৮০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের থেকে দ্বিগুণ। স্মল ক্যাপে লগ্নি পাঁচ গুণ বেড়ে হয়েছে ২৪,৮৮০ কোটি।
প্রতিটি প্রকল্পে ১%-৫% নগদ টাকা ফান্ডগুলি হাতে রাখে। যাতে লগ্নিকারীরা বেশি টাকা তুলে নিলে তার মোকাবিলা করা যায়। স্মল ও মিড ক্যাপ ফান্ডগুলির হাতে সেই নগদ যথেষ্ট রয়েছে কি না, তা ফান্ড শিল্পের সংগঠন অ্যামফি-কে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছে সেবি। বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির শেয়ারেযে ভাবে লগ্নি বেড়েছে, তাতে বড় ঝুঁকির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই ফান্ড প্রকল্পের তহবিল এই ধরনের যে সব সংস্থায় খাটবে, সেগুলির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাল করে খোঁজ নিয়ে এগোতে হবে।