পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব মোদী কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে ঋণখেলাপি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল সেবি। প্রস্তাব কার্যকর হলে, নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে নথিভুক্ত সংস্থাগুলিকে এক দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জে জানাতে হবে। লগ্নিকারীদের কাছে যাতে ঠিক সময়ে তথ্য পৌঁছনো নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বাজার নিয়ন্ত্রকের।
গত বছর অগস্টেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেবি। কথা ছিল তা কার্যকর হবে ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু নিয়ম চালুর এক দিন আগে তা পিছিয়ে দেয় তারা। মার্চের শেষে বসতে চলেছে বাজার নিয়ন্ত্রকটির পরিচালন পর্ষদের বৈঠক। সেখানেই ফের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেবি-র এক কর্তা।
তবে কত টাকার ঋণ খেলাপ হলে সংস্থাগুলিকে জানাতে হবে, সেই অঙ্ক এখনও স্থির হয়নি বলেই তাঁর দাবি। তিনি বলেন, খেলাপের অঙ্ক ৫ কোটি হলেই তা জানানোর প্রস্তাব রয়েছে। তেমনই অনেকে চান সেই অঙ্ক হোক ৫০ কোটি। ওই কর্তার কথায়, মোদী কাণ্ডই দেখিয়ে দিয়েছে, ঋণ খেলাপের অঙ্ক ছোট থাকতে থাকতে ব্যবস্থা নেওয়া কতটা জরুরি। যাতে তা আগামী দিনে বাড়তে না পারে।
বিভিন্ন সংস্থা ধার শোধে ব্যর্থ হওয়ার জের পড়েছে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যের উপর। পাশাপাশি, কিছু ক্ষেত্রে বাজারে সিকিউরিটি ছেড়ে টাকা তুললেও, তার সুদ বা আসল মেটাতে পারছে না সংস্থাগুলি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লগ্নিকারীরা। এই সব বিচার করেই এক দিনের মধ্যে ঋণ খেলাপের কথা জানানোর প্রস্তাব দিয়েছিল সেবি। যার মধ্যে থাকবে ব্যাঙ্ক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের তথ্যও।
বৈঠকে সংস্থা পরিচালনা নিয়ে উদয় কোটাকের নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রস্তাবও খতিয়ে দেখবে সেবি। কথা হবে স্বাধীন ডিরেক্টর নিয়োগ, চেয়ারম্যান ও এমডি-র পদ আলাদা করা, ডিরেক্টরদের বেতন ও পর্ষদের বৈঠকে আসার জন্য প্রাপ্য অর্থ, আর্থিক হিসেব সংক্রান্ত নানা বিষয়।