—প্রতীকী চিত্র।
চড়তে থাকা শেয়ার বাজারের সুবিধা নিতে একের পর এক ছোট সংস্থা বাজারে প্রথম বার শেয়ার ছেড়ে টাকা তুলছে (আইপিও)। সুত্রের খবর, বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগসাজশে বড় লগ্নিকারীদের একাংশ সেখানে শেয়ার কেনার ভুয়ো দরপত্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, আইপিও-তে সাহায্যের জন্য ওই ব্যাঙ্কগুলির একাংশ মাত্রাছাড়া চার্জ হাঁকছে। ছ’টি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। সতর্ক করেছে সাধারণ লগ্নিকারীদের। এই অনিয়ম রুখতে আরও কড়া বিধি আনার ইঙ্গিতও দিয়েছে। তবে কারা তদন্তের আওতায়, তা জানা যায়নি।
এ দিকে, আগাম শেয়ার লেনদেন নিয়ে সতর্ক করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার এক্স-এ বলেন, পাঁচ বছরে এমন লেনদেন বেড়েছে ৪৫ গুণ। তিন বছরে ৯০% ছোট লগ্নিকারীই এতে ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন। সেবি-র উচিত যে সমস্ত ‘বড় খেলোয়াড়’ ছোটদের সুযোগ কাড়ছে, তাদের নাম জানানো।
হালে বহু ছোট-মাঝারি সংস্থার আইপিও-তে সাড়া মিলেছে বহুগুণ। কিন্তু সূত্র বলছে, সেগুলি কিনতে নিজেদের সাধারণ লগ্নিকারী দেখিয়ে বড় লগ্নিকারীদের একাংশ বিপুল আবেদন করছে। যাতে ছোট লগ্নিকারীরা ভিড় করেন। কিন্তু শেয়ার বণ্টনের সময় বড়গুলির প্রস্তাব বাতিল হচ্ছে। আটকা পড়ছে সাধারণ বা ছোটরাই। এই অনিয়মে জড়িত সন্দেহেই তদন্তের আওতায় ছয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক। অভিযোগ, এই সমস্ত আইপিও-র একাংশের ক্ষেত্রে মোট যত টাকা উঠছে, তার ১৫% চার্জ হিসেবেও নিচ্ছে তারা। যা ভারতে চালু ব্যবস্থার (১%-৩%) বহুগুণ বেশি। পরিস্থিতি যে ঘোরালো, মানছে সেবি। তাদের কর্তা অশ্বনী ভাটিয়ার দাবি, এ মাসের কিছু আইপিও-তে বহু অনিয়ম দেখা গিয়েছে।