পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি ‘রাজসাক্ষী’ হতে চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সে জন্য তিনি বিচার ভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদনও করেন। সেই সূত্রেই আজ, মঙ্গলবার কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি নিতে পারে কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। ওই আদালতের ২০তম এজলাসের বিচারক কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারেন বলে আদালত সূত্রের খবর।
আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় এখন কলকাতায়। গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করতে চাইছেন বলে আইনজীবী মারফত আবেদন করেছিলেন কল্যাণময়। বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতকে দ্রুত কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, খবর আদালত সূত্রে।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে কল্যাণময় এবং তাঁর অধীনে কয়েকটি সংস্থাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্বশুর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি ‘বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের’ অন্যতম সদস্য ছিলেন বলে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে লিখিত বয়ানে জানান কল্যাণময়। পার্থের স্ত্রী বাবলি মারা যাওয়ার পরে তাঁদের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নিয়ে ট্রাস্টটি গড়া হয়। ট্রাস্টের মাধ্যমে জমি কেনা এবং একটি স্কুল গড়া হয়েছিল বলে ইডিসূত্রের দাবি।
কল্যাণময়ের লিখিত বয়ানে অবশ্য তিনি দাবি করেন, সবই পার্থের নির্দেশে করেছিলেন। ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা পার্থের প্রয়াত স্ত্রীর নামে ট্রাস্ট এবং কল্যাণময়ের নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল। তাই কল্যাণময় এবং তাঁর সংস্থার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ এখন ইডি-র মামলায় জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলায় জেলবন্দি।