Adani Group

তদন্তে কিছুই মেলেনি! সেবিকে তোপ

শেয়ার বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করেছিল, এক দশকেরও বেশি সময়ে ধরে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে চলেছে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

ন’বছর আগে আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক লেনদেন নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রের আর্থিক তদন্তকারী শাখা ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। সেই সময়ে তদন্ত শুরু করলেও ২০১৭ সালে তা বন্ধ করে দেয় সেবি। সংবাদমাধ্যমের খবর, এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি সরকারি ভাবে জানাতে চলেছে তারা। বাজার নিয়ন্ত্রক বলতে চলেছে, সেই সময়ে তদন্ত তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। শুক্রবার সমাজমাধ্যম এক্স-এ সেই সংবাদ প্রতিবেদন তুলে ধরে সেবির প্রবল সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, মোদী সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানগুলি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটিকে (জেপিসি) দিয়ে তদন্ত করানো হলে আদানি কাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।

Advertisement

শেয়ার বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করেছিল, এক দশকেরও বেশি সময়ে ধরে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে চলেছে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলি।

সম্প্রতি সূত্রকে উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালে ডিআরআই সেবিকে জানিয়েছিল, বিদ্যুতের সরঞ্জাম আমদানি করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিজেদের শাখা সংস্থাকে অতিরিক্ত বিল মেটাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। সেই পুঁজি ঘুরপথে শেয়ার বাজারে ঢুকতে পারে। তখন তদন্ত শুরু করলেও পরে তা বন্ধ করে দেয় সেবি। রমেশের অভিযোগ, ন’বছর আগে যে আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল, সেবি প্রথমে সেই তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করেছিল। এখন তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা দেবে, কেন সেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘সেবি কী ভাবে বিভিন্ন ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে ব্যর্থ হয়েছে সে দিকে এক বার তাকানো যাক। ২০১৪ সালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের জন্য ১০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত বিল মিটিয়ে আদানি গোষ্ঠীর টাকা পাচারের তদন্ত করেছিল ডিআরআই। ওই টাকা মরিশাস এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংস্থার মাধ্যমে বিনোদ আদানির (গৌতম আদানির দাদা) ঘনিষ্ঠ চ্যাং চুং-লিং এবং নাসের আলি শাবান আহলির হাতে পৌঁছয়।... পরে দেখা যায় এই দুই ব্যক্তি মরিশাসে দু’টি লগ্নিকারী সংস্থা তৈরি করেছেন। সেগুলির মাধ্যমে বিপুল পুঁজি ঢালা হয় আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিতে।’’ রমেশের প্রশ্ন, ‘‘কী ভাবে ঠিক মতো যাচাই প্রক্রিয়া ছাড়া ওই পুঁজি ঘুরপথে ভারতে ঢুকতে পারল? সেবির উপরে কী চাপ ছিল?’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ইউ কে সিন্‌হা সেবির চেয়ারম্যান থাকাকালীন গোটা ঘটনা ঘটেছে। যিনি পরে আদানি নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলের ডিরেক্টর হন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement