প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে দীর্ঘ দিন কারখানা বন্ধ থাকায় প্রভূত ব্যবসা হারিয়েছিল চটকলগুলি। আনলক পর্বে কাজ শুরু হলেও, স্বাস্থ্য বিধি মানার জেরে ও পরিযায়ী শ্রমিকদের অভাবে কাজের লোক কমেছে। যা পণ্ড করেছে পুরোদমে উৎপাদন চালুর উদ্যোগকে। এই অবস্থায় বহু চটকলে উৎপাদন চালানো নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বাজারে কাঁচা পাটের অভাব। অভিযোগ, যা পাওয়া যাচ্ছে, তারও আগুন দাম। চটশিল্পে যুক্ত সকলের আক্ষেপ, করোনার সংক্রমণ মাথায় নিয়েও ঘুরে দাঁড়ানোর যেটুকু আশা ছিল, তা উধাও হতে বসেছে।
পাটের অভাবে বহু চটকলে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দানা বেঁধেছে ইতিমধ্যেই। ফলে রোজগার হারানোর ভয়ে কাঁটা কর্মীরা। যাঁদের অনেকেই লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকার জন্য কাজ করতে না-পারায় মজুরি পাননি।
খরিফ মরসুমের খাদ্যশস্য ভরতে এ বছর বিভিন্ন রাজ্যের চটের বস্তার চাহিদা প্রায় ২৪ লক্ষ বেল (এক বেল ৫০০টি বস্তা)। যা পূরণ করা কঠিন, আফসোস চটকল মালিকদের। তাঁদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত জানান, পাট ব্যবসায়ীরা এ জন্য দায়ী করছেন আমপান ও কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টিকে। অধিকাংশ চটকলই চাহিদা মতো কাঁচা পাট পাচ্ছে না জানিয়ে জুট কমিশনারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
সমস্যা এক ঝলকে
• ২০২০-২১ মরসুমে দেশে কমপক্ষে ৭২ লক্ষ বেল পাট উৎপাদন হবে ধরা হয়েছিল।
• বাস্তবে ৬০ লক্ষ বেলেরও কম হবে বলে খবর।
• জোগানের অভাবে বাজারে কাঁচা পাটের দাম বাড়ছে প্রতিদিন।
• শস্য ভরতে চটবস্তা জোগানের জন্য কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয়।
• পাটের অভাবে বহু চটকলে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা
• সময়ে চটের বস্তা না-পেলে কেন্দ্র বার্তা দিয়েছে প্লাস্টিকের বস্তা কেনার।
চটশিল্প মহলের দাবি, সোমবার কাঁচা পাটের দাম ছিল কুইন্টালে ৫৪৪০ টাকা। বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি। একাংশের ধারণা, অসাধু ব্যবসায়ীরা পাট মজুতও শুরু করেছে। জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দাম বাড়লে চাষিদের আয় বাড়ে। কিন্তু বেআইনি মজুত করে কৃত্রিম অভাব তৈরি করে বাড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’