প্রতীকী ছবি।
প্রতি বছর পড়াশোনা শেষ করে চাকরির বাজারে পা রাখছে বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়ে। কিন্তু সকলকে কাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহূর্তে ভারতে কর্মসংস্থানের এই ছবিটাই উদ্বেগজনক বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ উপদেষ্টা সংস্থা র্যান্ডস্ট্যাড ইন্ডিয়া। তাদের দাবি, এ জন্য দায়ী মূলত বিভিন্ন কাজের ধরন বদলে যাওয়া এবং কর্মপ্রার্থীদের বড় অংশের মধ্যে সেই বদলের সঙ্গে তাল মেলানোর মতো দক্ষতা না-থাকা।
খোদ সরকারি হিসেব বলছে, ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। গবেষণা সংস্থা সিএমআইই জানিয়েছে, অক্টোবরে তা পৌঁছেছে ৮.৫ শতাংশে, যা তিন বছরে সর্বাধিক। এ জন্য অর্থনীতির শ্লথ গতিকে দায়ী করছে বিরোধীরা। তবে র্যান্ডস্ট্যাড ইন্ডিয়ার এমডি-সিইও পল ডুপির মতে, অর্থনীতির মন্থর গতি সাময়িক। সম্প্রতি কলকাতায় এক সভার ফাঁকে তিনি বলেন, তাঁদের হিসেব অনুযায়ী এখন দেশে কর্মহীন প্রায় ৭.৫%। কিন্তু এর সঙ্গে ৪৫ বছরের তুলনা টানা মুশকিল। কারণ, জনসংখ্যা-সহ কাজের বাজারের নানা মাপকাঠি ও অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি পাল্টেছে চার দশকে।
দেশে বিভিন্ন শিল্পে কর্মী নিয়োগে যুক্ত র্যান্ডস্ট্যাড। ডুপির দাবি, গত বছরের থেকে এ বার তাঁদের নিযুক্ত কর্মী নিট প্রায় ৪০০০ বাড়লেও, তা প্রত্যাশার চেয়ে কম। তাঁর মতে, একে নতুন কর্মপ্রার্থী বাড়ছে। কাজের বাজারে গড় বয়স কমছে। তার উপরে শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা নেই বড় অংশের। এই ছবি পাল্টাতে দক্ষতা বাড়ানোয় জোর দিতে বলেন ডুপি। জানান, পুরনো কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত সব সংস্থারই।