Rate of Interest

Interst rate: সুদ পৌঁছবে অতিমারির আগের অবস্থায়, অনুমান রিপোর্টে

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, আনুমানিক সেই পদক্ষেপও প্রশ্নাতীত নয়। যুদ্ধ, মূল্যবৃদ্ধি এবং সুদ বৃদ্ধির জেরে বাজার হঠাৎই আবার অস্থির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ০৫:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত চার মাস ধরে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার রয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমার ঊর্ধ্বে। এপ্রিলে তা পৌঁছে গিয়েছে ৭.৮ শতাংশে। যাকে সামাল দিতে দুই ঋণনীতি বৈঠকের অন্তর্বর্তী সময়ে রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এ বার এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়াল স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক গবেষণা শাখা। তাদের বক্তব্য, গত তিন মাসে মূল্যবৃদ্ধি যতটা মাথাচাড়া দিয়েছে, তার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্ব ৫৯%। শুধু তা-ই নয়, গবেষণা শাখার রিপোর্টে (ইকোর্যা্প) জানানো হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধির হার স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে আসার সম্ভাবনা কার্যত নেই। এই অবস্থায় আগামী কয়েকটি ঋণনীতিতে সুদের হার আরও ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে করোনার আগের জায়গায় (৫.১৫%) নিয়ে যেতে পারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, আনুমানিক সেই পদক্ষেপও প্রশ্নাতীত নয়। যুদ্ধ, মূল্যবৃদ্ধি এবং সুদ বৃদ্ধির জেরে বাজার হঠাৎই আবার অস্থির। বিভিন্ন মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাচ্ছে। এই অবস্থায় দফায় দফায় সুদ বৃদ্ধি আর্থিক বৃদ্ধির চাকাকে বেলাইন করে দেবে না তো? আবার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের মতে, যুদ্ধ এ বছরের শেষ পর্যন্তও গড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্রমাগত সুদ বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধিকে ঠিক কতটা বাগে আনা যাবে? বিশেষ করে যেখানে যুদ্ধকেই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ বলা হচ্ছে! স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্টে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে অর্থনীতির সামনে ঝুঁকির হিসাব কষা হবে নতুন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই। বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব বজাজেরও বক্তব্য, ‘‘সুদের হার এখন এমন কিছু উঁচু নয়। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ এবং ভাল বর্ষা মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে।’’

স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ফেব্রুয়ারিকে (যুদ্ধ শুরুর মাস) ভিত্তি ধরে তার পরে যে দাম বেড়েছে, তার ৫২% কারণ খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি, আলো, পরিবহণের খরচের উপরে যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব। যুদ্ধের ফলে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির গুরুত্ব আরও ৭%। গ্রামের দিকে মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ খাদ্যপণ্যের দামের দৌড়। শহরের ক্ষেত্রে তা জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। এই অবস্থায় জুন এবং অগস্টের ঋণনীতিতে ফের সুদ বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী বলেই মত স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement