স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক গবেষণা শাখা মনে করছে সুদের হার তার বর্তমান স্তরেই ধরে রাখবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি নির্ধারক কমিটি। ছবি: সংগৃহীত।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কটির ঋণনীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে এপ্রিলের ৩ তারিখে। ৩ দিনের এই বৈঠকে দেশের আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করে রেপো রেট নির্ধারণ করবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কিং মহলের ধারণা মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম পরাতে পর পর যে ভাবে সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বার তা থেকে সরে আসতে পারে। অন্তত আর্থিক সূচকগুলির ইঙ্গিত তাই।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক গবেষণা শাখা মনে করছে সুদের হার তার বর্তমান স্তরেই ধরে রাখবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি নির্ধারক কমিটি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে যে সুদের হারে ব্যাঙ্ক টাকা ধার নেয় সেই রেপো রেট এখন ৬.৫ শতাংশ। এই সুদের হারই ঋণের বাজারে সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে।
স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক গবেষণা শাখার রিপোর্ট বলছে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মনে করছে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.২ থেকে ৫.৩ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। অন্যান্য আর্থিক সূচক আলোচনায় ধরলে রেপো রেট ৬.২ শতাংশ থেকে ৬.৩২ শতাংশই মুদ্রাস্ফীতিকে কাবু করার পক্ষে যথেষ্ট। আর যেহেতু বর্তমান রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে তাই এই হার যে আর বাড়বে না তা মনে করার সঙ্গত কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখাটি।
ইতিমধ্যেই অবশ্য আবাসন এবং পরিকাঠামো শিল্প সংস্থাগুলি সুদ আর না বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। সংস্থাগুলির বক্তব্য বাজারের যা অবস্থা তাতে সুদ আরও বাড়লে বিনিয়োগের খরচ বাড়বে। আর তাতে বৃদ্ধির হার ব্যাহত হবে।