প্রবেশ: নতুন সৌদির স্বপ্ন। অ্যারামকোর জন্য খোঁজ নতুন বাজারের। সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। ফাইল চিত্র
তেলের বিপুল চাহিদার বাজার ভারত যে তাদের পাখির চোখ, সে কথা আগেই স্পষ্ট করে বলেছে সৌদি অ্যারামকো। পুরোদস্তুর শাখা খুলেছে এ দেশে। এ বার মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় শোধনাগার ও পেট্রোকেম প্রকল্পে ৫০ শতাংশ অংশীদারি নেওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে চুক্তি সই করল তারা।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই তেল বহুজাতিকের দাবি, আগামী দিনে ভারতে আরও বিনিয়োগ করতে চায় তারা। পা রাখতে আগ্রহী তেল বিক্রির খুচরো ব্যবসাতেও (পাম্প)।
অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতা কমাতে পাঁচ বছরের মধ্যে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় রাজাপুরের কাছে বাবুলওয়াড়িতে দেশের বৃহত্তম তেল শোধনাগার ও পেট্রো-রসায়ন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেখানে সম্ভাব্য বিনিয়োগের অঙ্ক ২ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। যৌথ ভাবে তা তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। দিনে ১২ লক্ষ ব্যারেল শোধন ক্ষমতার এই শোধনাগারেই অর্ধেক অংশীদারি নিতে আগ্রহী সৌদি আরবের ‘তেল দৈত্য’। বাকি অর্ধেক থাকবে ভারতীয় সংস্থাগুলির হাতে। যদিও পরে নিজেদের শেয়ারের কিছুটা অন্য কোনও সংস্থাকে দেওয়ার রাস্তাও খুলে রেখেছে অ্যারামকো।
অ্যারামকো যে আরও বেশ কিছু শোধনাগারের সম্প্রসারণ প্রকল্পেও অংশীদারি নিতে আগ্রহী, বুধবার দিল্লিতে তা ফের জানিয়েছেন সৌদি তেল মন্ত্রী খলিদ অল ফলি।
নতুন সৌদির স্বপ্ন ফেরি করছেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। সিনেমা হল চালু থেকে শুরু করে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি— তার ইঙ্গিত সর্বত্র। ঢেলে সাজাতে চাইছেন অর্থনীতিকেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অঙ্গ হিসেবেই অ্যারামকোর জন্য নতুন বাজারের খোঁজে নেমেছে সৌদি আরব। তাদের কাছে ভারতের এত কদরও মূলত সেই কারণে।
বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে ভারতে। টেক্কা দিচ্ছে চিনকেও। এই লোভনীয় বাজার ধরতে তাই শোধনাগারে অংশীদারি নেওয়ার পাশাপাশি পেট্রোল পাম্প খোলার কথাও ভাবছে অ্যারামকো। এখন পেট্রল-ডিজেলের দর বাজারের হাতে। সেই সুবিধা নিয়ে এ দেশে পাম্প খুলতে আগ্রহী বিপি, রজনেফ্টের মতো বহুজাতিক। সেই দৌড়ে সামিল অ্যারামকোও।