আল ওয়ালিদ বিন তালাল। ছবি: রয়টার্স।
অবশেষে ছাড়া পেলেন সৌদি রাজকুমার আল ওয়ালিদ বিন তালাল। কর্পোরেট বিশ্ব যাঁকে এক ডাকে সৌদি আরবের ওয়ারেন বাফে বলে চেনে। শনিবারই সেই মুক্তির কথা জানান তাঁর ঘনিষ্ঠ এক অনুগামী। ছাড়া পেয়েছেন ওয়ালিদ আল ইব্রাহিম সমেত আরও কয়েক জন রাজকুমার। নভেম্বরের গোড়ায় দুর্নীতির অভিযোগে ৩৫০ জন রাজকুমার ও ধনকুবেরকে রাতারাতি গ্রেফতার করে সৌদি প্রশাসন। বিভিন্ন সূত্রে খবর, মুক্তির বিনিময়ে তাঁদের কাছে নেওয়া ১০ হাজার কোটি ডলার কাজে লাগানো হবে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে।
ধনকুবের আল ওয়ালিদ কর্পোরেট দুনিয়ায় পশ্চিম এশিয়ার মুখ। টুইটার, সিটি গ্রুপের মতো বহু সংস্থার অংশীদারি পকেটে। নিট সম্পদ ১,৭০০ কোটি ডলার। মার্কিন ধনকুবের লগ্নিকারী ব্যবসায়ী বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কর্ণধার ওয়ারেন বাফের সঙ্গে তাঁর তুলনা টানেন অনেকে।
এই সৌদি রাজকুমারের সোনায় মোড়া ব্যক্তিগত বিমান, আকাশছোঁয়া অফিস, বিলাসবহুল জীবনযাত্রা— এ সবও চর্চার কেন্দ্রে বরাবর। তিনি বন্দি হওয়ার পরে এমনকী পড়ে গিয়েছিল অনেক বড় সংস্থার শেয়ার দরও।
দীর্ঘ দিন পাঁচতারা হোটেলের স্যুইটে বন্দি থাকার পরে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি ছিল, অভিযোগ থেকে মুক্তির পরে জেল থেকে ছুটি সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেখানে অনেক রোগা দেখিয়েছিল তাঁকে। গালে না কামানো দাড়ি। মাথার চুলে পাকও বেশি। ছড়াচ্ছিল নানা জল্পনা। মুক্তির খবর তার পরেই।