—ফাইল চিত্র।
বেকারত্বের উঁচু হার সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্টকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গোয়ার।
ভোটবাক্সে সমর্থন পোক্ত হয়েছে। কিন্তু বৃদ্ধি, বেসরকারি লগ্নি, কর্মসংস্থানের মতো কয়েকটি বিষয় নিয়ে যে নরেন্দ্র মোদীর সরকার স্বস্তিদায়ক অবস্থানে নেই, সে ব্যাপারে মোটামুটি সহমত বিভিন্ন মহল। বস্তুত সম্প্রতি এনএসএসও-র চূড়ান্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১%, যা গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। এই অবস্থায় মন্ত্রীর বক্তব্যের ভিত্তি কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। মন্ত্রী নিজে নির্দিষ্ট কোনও রিপোর্টের কথা না বললেও ইদানিং বেকারত্ব নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা এনএসএসও-র রিপোর্টকে ঘিরেই। খোদ সরকারের রিপোর্টই যদি ‘বিভ্রান্তিকর’ হয়, তা হলে কোন রিপোর্টের উপরে নির্ভর করা সম্ভব, সে প্রশ্নও তুলছেন একাংশ।
সোমবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে গঙ্গোয়ার দাবি করেন, এ যাবৎ বেকারত্বের হার নিয়ে যে সমস্ত রিপোর্ট বেরিয়েছে তা পুরোপুরি ঠিক নয়। এর পরে সভার মধ্যেই প্রতিবাদে সরব হন বিরোধীরা। যদিও মন্ত্রী জানান, কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। সভায় সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করবেন তাঁরা। কেন্দ্রের কর্মসংস্থান প্রকল্পে সাম্প্রতিক অতীতে কত চাকরি হয়েছে, সে ব্যাপারেও এ দিন তথ্য পেশ করেছেন মন্ত্রী। উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় দেওয়া ঋণের কথা।
অতীতে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে নতুন গ্রাহক সংখ্যাকে তুলে ধরেও কেন্দ্র কর্মসংস্থানে জোয়ার আসার দাবি প্রমাণ করতে চেয়েছিল। প্রশ্ন তুলেছিল, উঁচু বৃদ্ধির অর্থনীতিতে কাজ বাড়ছে না, তা হয় কী ভাবে? যদিও প্রথম দফায় নরেন্দ্র মোদীর দেখানো বছরে নতুন দু’কোটি কর্মসংস্থানের স্বপ্ন কতটা পূরণ হয়েছে, তার পোক্ত কোনও হিসেব পেশ করতে পারেনি সরকার। ফলে বিতর্ক রয়েই গিয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।