—প্রতীকী ছবি।
জুন-জুলাইয়ে সাধারণত বিপণি (শোরুম) থেকে গাড়ি বিক্রিতে কিছুটা ভাটার টান থাকে। অগস্ট থেকে শুরু হয় উৎসবের মরসুম। যে দিকে শুধু গাড়ি বাজার নয়, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাই তাকিয়ে থাকে বাড়তি বিক্রির আশায়। কিন্তু এ বার গাড়ি বিক্রেতাদের (ডিলার) উদ্বেগ, আবহাওয়া দফতরের জারি করা কম বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিক্রেতাদের সংগঠন ফাডা-র দাবি, জুলাইয়ে বহু জায়গায় বাড়তি বৃষ্টি হলেও, অগস্টে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। এটা সত্যি হলে ধাক্কা খেতে পারে কৃষি ক্ষেত্র ও তার জেরে গ্রামীণ অর্থনীতি। যা উৎসবের মরসুমের শুরুতেই প্রভাব ফেলতে পারে গাড়ির চাহিদায়।
সোমবার সরকারি পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে জুলাইয়ের গাড়ি বাজারের তথ্য প্রকাশ করে ফাডা জানিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে গত মাসে সার্বিক ভাবে ১০% বেড়েছে বিপণি থেকে বিক্রি। তবে গত জুনের চেয়ে জুলাইতে তা কমেছে ৫%। একমাত্র তিন চাকা ছাড়া সব ধরনের গাড়ির বিক্রিই কমেছে সেই হিসাবে। আর প্রাক-করোনা পর্বের সঙ্গে তুলনা করলে গত মাসে সার্বিক বিক্রি কমেছে ১৩%। চোখে পড়ার মতো ২৩% বিক্রি কমেছে দু’চাকার। প্রসঙ্গত, অতিমারির পরে চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদাই ধাক্কা খেয়েছে। কম দামি যাত্রিবাহী এবং দু’চাকার গাড়ি তার মধ্যে অন্যতম। চড়া তেলের দর, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে বিমা খরচ-সহ একাধিক কারণে গাড়ি কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বিপুল বেড়ে যাওয়ায় সব থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ওই দু’ধরনের গাড়ি। আর কম দামি দু’চাকার গাড়ির মূল বাজার হল গ্রামীণ অর্থনীতি। ফাডা মনে করছে, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাই গ্রামীণ বাজারে ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতায় ধাক্কা দিতে পারে।