—ফাইল চিত্র।
অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার দেনা মেটাতে হবে সহারাকে। তবেই জেলের বাইরে থাকতে পারবেন সুব্রত রায়। অন্যথায় তাঁর প্যারোল বাতিল করা হোক। সহারাকর্তার বিরুদ্ধে এই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি।
শীর্ষ আদালতে সেবি জানিয়েছে, ৮ বছর আগে ২৫ হাজার ৭০০ কোটির দেনা মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সহারা ইন্ডিয়া পরিবারকে। তাদের দুই সংস্থার দেনা সুদে আসলে বেড়ে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা হয়েছে। অবিলম্বে তা না মেটালে সুব্রত রায়কে জেলে ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে সেবির তরফে।
২০০২ সালে সেবি শীর্ষ আদালতে জানায় যে, সহারা গ্রুপ কোম্পানিজ বেআইনি ভাবে বাজার থেকে ৩৫০ কোটি ডলার তুলেছে। সহারা কর্তৃপক্ষ যদিও দাবি করেন, যে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বাইরে ছিলেন, তাঁদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মেঠো কবাডি থেকে সবুজ গল্ফ কোর্সে, নব্য অবতারে ময়দানে নয়া দিলীপ
তবে যে তালিকা সহারা দিয়েছিল, তার মধ্যে বহু বিনিয়োগকারীর হদিশই মেলেনি। ২০১৪ সালের মার্চে জেলে পাঠানো হয় সহারা কর্তাকে। প্রায় দু’বছর জেলে থাকার পর ২০১৬ সালে প্যারোলে বেরিয়ে আসেন সুব্রত রায়। সেই থেকে জেলের বাইরেই রয়েছেন তিনি।
আদালতে সেবি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোটে ১৫ হাজার কোটি টাকা জমা করেছে সহারা। সমস্ত পাওনা টাকা অবিলম্বে না মেটালে সুব্রত রায়ের প্যারোল বাতিল করা উচিত। যদিও এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ আদালত। বিষয়টি নিয়ে কবে পরবর্তী শুনানি, তা-ও জানানো হয়নি এখনও।
আরও পড়ুন: ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ, উদ্বিগ্ন অমিত শাহের মন্ত্রিগোষ্ঠী
তবে সেবি অন্যায় দাবি করছে বলে অভিযোগ করেছে সহারা গ্রুপ। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, তাদের হেনস্থা করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত সুদ চাপিয়েছে সেবি। সহারার দাবি, বিনিয়োগকারীদের আগেই পাওনা মিটিয়ে দিয়েছে তারা। তা সত্ত্বেও দু’বার করে টাকা চাওয়া হচ্ছে।