ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আবহে ভারতকে নিয়ে চিন্তিত সকলেই। কারণ, তারা যে অশোধিত তেলের বিরাট বড় খদ্দের, হালে তার দাম কার্যত মাত্রা ছাড়িয়েছে। শুক্রবার আইএমএফের কর্ণধার ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সতর্কবার্তা, ঠিক এই কারণেই ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক উত্তেজনা এ দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ভারত-সহ তাঁদের সদস্য সমস্ত দেশকেই চড়া দামের জ্বালানি আর খাদ্যপণ্যের দুর্ভোগ থেকে সমাজের সব থেকে দুর্বল অংশকে রক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। তেলের চড়া দাম মূল্যবৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলে ভারতীয়দের ক্রয়ক্ষমতা কমাবে বলে সাবধান করেছেন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথও।
এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষকে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ থেকে বাঁচাতে এ দিনই তেলে উৎপাদন শুল্ক কমানোর সওয়াল করেছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র। বলেছেন, এ দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার এখনও ঝিমিয়ে। তাকে চাঙ্গা করতে সরকার শুল্ক কমাতে পারে। সেই জায়গা রয়েছে তাদের। তবেই চড়া অশোধিত তেলের দাম খুচরো বাজারে পণ্যের দামে জুড়বে না এবং অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া বহাল থাকবে।
বিশ্ব জুড়ে বাড়তে থাকা পণ্যের দাম নিয়ে আজ জর্জিয়েভার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। অর্থ মন্ত্রক একগুচ্ছ টুইটে বলেছে, এখন মূল প্রশ্ন যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক বৃদ্ধিতে ভারসাম্য আনাই, সে ব্যাপারে একমত তাঁরা। কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের আশ্বাস, বর্তমান অনিশ্চয়তার মেয়াদ এবং জ্বালানির দামে তার প্রতিফলনের উপরে ভিত্তি করে জিডিপির বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধির হার, ঋণনীতি এবং মুদ্রায় সেগুলির প্রভাব খতিয়ে দেখতে হবে।
এক অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাড বলেন, কেন্দ্র জ্বালানির দামে নজর রাখছে। দেশের মানুষ যাতে সমস্যায় না-পড়েন সেটা নিশ্চিত করতেই নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা হবে।