২০২৪-এর প্রথম ন’মাসে ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজ়েল রফতানি বেড়েছে ৫৮%। — প্রতীকী চিত্র।
ইউক্রেন আক্রমণের কারণে রাশিয়ার অশোধিত তেলের দামে ঊর্ধ্বসীমা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। জারি করেছে কিছু নিষেধাজ্ঞাও। কিন্তু নিষেধ-বিধির ফাঁক গলে ভারতের মাধ্যমে রুশ তেলের ইউরোপ যাত্রা আটকায়নি। বরং ফিনল্যান্ডের সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের সমীক্ষা বলছে, ২০২৪-এর প্রথম ন’মাসে ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজ়েল রফতানি বেড়েছে ৫৮%। দিল্লি হয়েছে তাদের বৃহত্তম জ্বালানি রফতানিকারী।
সমীক্ষা বলছে, ব্যবসার মুনাফা যাতে সামরিক খাতে না যায় তাই রুশ তেলে নিষেধাজ্ঞা চাপায় জি৭ রাষ্ট্রগোষ্ঠী এবং ইইউ। কিন্তু তৃতীয় কোনও দেশে সেই তেল শোধিত হয়ে পেট্রোপণ্য রূপে রফতানিতে বাধা নেই। এমনকি, নেই দামের ঊর্ধ্বসীমাও। সেই পথেই ডিজ়েল এবং বিমানের জ্বালানি ঢুকছে ইইউ-র দেশগুলিতে। রফতানিকারী দেশের নির্ধারিত দামেই। যার মূল সূত্র রাশিয়ার অশোধিত তেল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে মস্কো থেকে চাহিদার ১ শতাংশেরও কম তেল কিনত ভারত। এখন দামে ছাড় মেলায় তা হয়েছে ৪০%। সমীক্ষা বলছে, বিধির ফাঁক গলে সেই তেলই ভারতের জামনগর, ওয়াদিনার এবং ম্যাঙ্গালোরের শোধনাগার থেকে ইইউ-তে যাচ্ছে। যুদ্ধের আগে ভারত থেকে দিনে ১.৫৪ লক্ষ ব্যারেল পেট্রোপণ্য কিনত ইউরোপ। এখন তা প্রায় দ্বিগুণ।