প্রতীকী ছবি।
মূলত করোনাভাইরাসের আতঙ্কই শুক্রবার ধস নামাল ভারতের শেয়ার বাজারে। রক্ষা পেল না টাকাও। তার দাম নেমে গেল প্রায় ছ’মাসের তলানিতে। ৬৩ পয়সা বেড়ে এ দিন এক ডলার পৌঁছেছে ৭২.২৪ টাকায়।
সেনসেক্স এ দিন ১৪৪৮.৩৭ পয়েন্ট পড়ায় টানা ছ’দিনে তার পতন দাঁড়িয়েছে ৩০২৫.৬৩। এই ক’দিনে লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ১১.৭৭ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। সূচক নিফ্টি-ও এ দিন নেমেছে ৪৩১.৫৫ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ১১,২০১.৭৫-এ। ছ’দিনে তার পতন ৯২৪.১৫ পয়েন্ট। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ দিন শেয়ার বাজারের এই বিপুল পতনও টেনে নামিয়েছে টাকার দামকে। মূলত বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার বেচে হাতের টাকা ডলারে পরিণত করেছেন। ফলে চাহিদা বেড়েছে তার। পড়েছে টাকার দাম। পুরো সপ্তাহের হিসেবে অবশ্য এক ডলারের দাম বেড়েছে ৫৬ পয়সা।
করোনার প্রকোপ চিন ছাড়িয়ে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশে। এর জেরে চিনে ব্যবসা-বাণিজ্য তো অচল হয়েছেই। তার প্রভাব ধাক্কা দিচ্ছে ভারত-সহ গোটা বিশ্বকেই।
চর্মপণ্য রফতানি পরিষদের চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজা জানান, চিন থেকে কাঁচামাল আসা বন্ধ হওয়ায় কমতে শুরু করেছে চর্মপণ্যের উৎপাদন। কেন্দ্র অবশ্য বারবার শিল্পের
পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছে। বিকল্প বন্দোবস্তেরও। তবে অ্যাসোচ্যামের সেক্রেটারি জেনারেল দীপক সুদের দাবি, ভারতে বিচ্ছিন্ন কিছু সংক্রমণ ধরা পড়লেও, অবস্থা আয়ত্তের মধ্যে। যদিও স্বীকার করছেন, বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বের শেয়ার বাজার পড়লে, আর্থিক কর্মকাণ্ড ধাক্কা খেলে, ভারতেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।
এ দিন করোনাভাইরাস ঘিরে আশঙ্কায় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামও পড়েছে। এক সময়ে ৩.২৮% কমে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম হয় ব্যারেলে প্রায় ৫০.৫০ ডলার।