বড় মাপের পতন হল টাকার দামে। মঙ্গলবার ডলার লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকার দাম এক ধাক্কায় ২৬ পয়সা পড়ে গিয়েছে। যার ফলে দিনের শেষে এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৭.৭৫ টাকা।
তবে টাকার দাম পড়লেও চার দিন বাদে ফের বাড়ল শেয়ার বাজার। এই দিন সেনসেক্স বেড়েছে ৭৫.১১ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা থিতু হয় ২৫,৩০৫.৪৭ অঙ্কে। যদিও এর আগে গত চার দিনের লেনদেনেই সেনসেক্স পড়েছিল ৫৪৯ পয়েন্ট। তবে এ দিন ছোট ও মাঝারি মূলধনের সংস্থাগুলির দর কমেছে। ফলে ছোট সংস্থার (স্মল ক্যাপ) সূচক নেমেছে ০.৬৫% এবং মাঝারি মূলধনের সংস্থার (মিড ক্যাপ) ০.১৬%।
এ দিন সূচক ওঠায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও লগ্নিকারীদের উদ্বেগে রেখেছে টাকার দাম। গত ন’দিন ধরে তা টানা পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই দাবি, শেয়ার বাজারের হাল এমনিতেই খারাপ। তার উপর বাজারে বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ট়ানা শেয়ার বেচে চলেছে। এর জেরেই টাকার দামে এই বিপত্তি। ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে শেয়ার বেচে হাতে পাওয়া টাকা দিয়ে ডলার কিনে নিজেদের দেশে নিয়ে যায়। ফলে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। পড়ছে টাকা।
কিন্তু তারা শেয়ার বেচছে কেন?
সম্প্রতি পার্টিসিপেটরি নোটের (পি নোট) মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিদেশি সংস্থার লগ্নির উপর কিছু বিধিনিষেধ চালুর প্রস্তাব দিয়েছে সেবি। এতেই আতঙ্কিত তারা। এ ছাড়া আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক আগামী মাসে সুদ বাড়াতে পারে বলেও খবর। আর এ সব মিলিয়েই বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভারতে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগের উপর।
এ দিকে সংবাদ সংস্থার খবর, বিভিন্ন নামী সংস্থার তৈরি পাউরুটিতে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গিয়েছে বলে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সমীক্ষায় যে-ইঙ্গিত মিলেছে, তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ব্রিটানিয়া এবং জুবিল্যান্ট ফুড প্রডাক্টসের শেয়ার দরে। এ দিন ওই দুই সংস্থার দর ৪.৪৫% পড়ে যায়।
এশিয়ার বিভিন্ন শেয়ার বাজারও মঙ্গলবার উঠেছে। জাপানের নিক্কেই বেড়েছে ০.৯৪%, চিনের সাংহাই কম্পোজিট ০.৭৭%, হংকংয়ের হ্যাংসেং ০.১১%। এর জের পড়ে ভারতেও।